তিনি একডালিয়া এভারগ্রিন দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা। সাবেকিয়ানার মধ্যেই সুউচ্চ পুজোমণ্ডপ এবং ঝাড়বাতির আলোর রোশনাই এই এলাকাকে আলোকিত করে রাখে। সঙ্গে দেখা যায় একগাল হাসি নিয়ে চেনা মানুষটিকে। যেন এই মুহূর্তের জন্যই অপেক্ষা করেছিলেন। হ্যাঁ, তিনি বর্ষীয়ান মন্ত্রী তথা পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আজ এই ক্লাবের ঘরটি ফাঁকা রয়েছে। কারণ এভারগ্রিন সুব্রত মুখোপাধ্যায় আর নেই।
এখানে তাঁর মরদেহ আনা হয়েছিল। চোখের জলে তাঁকে বিদায় দিলেন অনুগামীরা। ভিড় উপচে পড়েছিল। একবার জননেতাকে দেখার জন্য হাজির সব বয়সের মানুষজন। তখন ক্লাব ঘরের ভিতরে থাকা চেয়ারটি ফাঁকা ছিল। জানান দিচ্ছিল, এই চেয়ার সবাই আলোকিত করতে পারে না। তাই আজ তা রয়েছে অন্ধকারেই।
এবারের দুর্গাপুজোতেও মজা করেছিলেন এই রসিক রাজনীতিবিদ। শুক্রবার শেষযাত্রায় পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানাতে মন্ত্রী–নেতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। লোকে লোকারণ্য বালিগঞ্জ থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মালা রায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর প্রিয় ক্লাব কর্তাকে পৌঁছতে হাজির একডালিয়া ক্লাবের সদস্যরা।
এই ক্লাবের চেয়ারে বসেই কাজ করতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেই চেয়ার আজ ফাঁকা। তাই সেখানে রেখে দেওয়া হয়েছে তাঁর ছবি। সদস্যরা বলছেন, সুব্রতদা আছেন আমাদের হৃদয়ে। এতদিন যা শিখিয়েছেন তা দিয়ে চলে যাবে বাকি জীবন। একডালিয়া এভারগ্রিনের কাছে তিনি এভারগ্রিনই থাকবেন। তাঁর ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা।
শুক্রবারই বাড়ি ফেরার কথা ছিল বর্ষীয়ান এই নেতার। কিন্তু ফেরা হয়নি তাঁর। কারণ তিনি না ফেরার দেশেই পাড়ি দিয়েছেন। ইচ্ছা ছিল ক্লাবের কালী প্রতিমা ওনাকে দেখিয়ে তবেই বিসর্জন দেওয়া হবে। কিন্তু ক্লাব সদস্যদের সেই ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে গেল। চলে গেলেন তাঁদের প্রিয় দাদা। ক্লাবের ফাঁকা চেয়ার প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়ে রইল। সদস্যরা বলছেন, ভালো থাকবেন সুব্রতদা।