আজ কালীপুজো। দীপাবলির আলোতে মেতে উঠেছে গোটা রাজ্য। ঠিক একবছর আগে এই দিনে সকলকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যান বাংলার বিশিষ্ট পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২০২১ সালের কালীপুজোর দিনে প্রয়াত হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দিনটা ছিল ৪ নভেম্বর। যা ভুলতে পারছেন না আত্মীয়–বন্ধুরা। তাই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতির উদ্দেশে এই বছরে আর কালীপুজো হচ্ছে না একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে। তাছাড়া মঙ্গলবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাৎসরিক অনুষ্ঠান পালিত হবে তার বালিগঞ্জের বাসভবনে।
ঠিক কী ঘটেছে একডালিয়ায়? গতবছরের কালীপুজোয় প্রয়াত হন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন–সহ রাজ্যের চার দফতরের মন্ত্রী, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে রাখায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আর দীপাবলির সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। সেদিন বাড়ির পুজো ছেড়ে মন্ত্রীকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর সুব্রত মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে কার্ডিওলজি বিভাগে পরীক্ষার পরেই তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাঁকে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন বা বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। অক্সিজেনও দেওয়া হয়। কিন্তু ধরে রাখা যায়নি। একটা রাজনীতির বড় অধ্যায় সেদিন শেষ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ষাটের দশকে কংগ্রেসী ঘরানার রাজনীতি থেকে উঠে আসা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। শুরু করেছিলেন ছাত্র রাজনীতি দিয়েই। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গেই উত্থান হয় তাঁরও। বাংলায় প্রিয়–সুব্রত জুটি চর্চিত ছিল। ১৯৭২–১৯৭৭ তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। সিদ্ধার্থশংকর রায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন। কলকাতার ৩৬তম মেয়র হয়ে মহানগরীর উন্নয়ন গটিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মেয়র পদে বহাল ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গেও সুব্রত মুখোপাধ্যায় যোগাযোগ ছিল নিবিড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতিতে নিয়ে আসার অন্যতম কারিগর ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।