যাঁর দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, সেটা তাঁর ভাইয়ের দেহই না! সেক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার কার দেহ ময়নাতদন্ত করা হল? তা জানতে ডিএনএ টেস্টের দাবিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হলেন মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা। তিনি জানিয়েছেন, দেহে এতটাই পচন ধরে গিয়েছিল, যে ভাইয়ের দেহ শনাক্তই করতে পারেননি দাদা। সেক্ষেত্রে কার দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা।
এই নিয়ে এবার ভাইয়ের ডিএনএ টেস্ট করানোর দাবিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে আবেদন করলেন মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা। তাঁর আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, যার দেহ ভাইয়ের বলে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, আদতে সেটি তাঁর ভাইয়ের দেহই না!
অন্য দিকে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছে হাইকোর্ট। অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রিপোর্ট জমা পড়ার পর হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেয় যে, পুলিশকে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে আক্রান্তদের। এমনকী, বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহেরও দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত।
ঘটনাটি ঘটে ভোটের ফল ঘোষণার দিন ২ মে। একদিকে যখন ভোটের ফল ঘোষণা হচ্ছে, অন্য দিকে, কাঁকুরগাছি থেকে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এলোপাথাড়ি মারধর করে গলায় তার পেঁচিয়ে খুন করা হয় অভিজিতকে।বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ছিলেন অভিজিৎ। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক হিংসার কারণেই খুন করা হয়েছে তাঁদের ছেলেকে। তৃণমূলের দিকে এই খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবার। পদ্মশিবিরের দাবি, শাসকদলের মদতেই তাঁদের দলের কর্মীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও বিজেপির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।