একুশের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি নিজে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সামান্য ভোটে হেরে গিয়েছেন। তাই নিয়মমাফিক আগামী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু তাঁকে জিততে বাধা দেবে খোদ এবার নির্বাচন কমিশন। এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি যশবন্ত সিনহা।
কিন্তু কেন এমন দাবি করলেন তিনি? শনিবার টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভায় যাওয়া আটকাতে আগামী কয়েকমাসে কোনও নির্বাচনের আয়োজনই করবে না নির্বাচন কমিশন।’ কিন্তু এখনও ৬টি আসনে উপনির্বাচন করতে হবে। কারণ সেখানের আসনটি খালি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যশবন্তের টুইট রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় বইয়ে দিয়েছে।
শনিবার টুইটে যশবন্ত সিনহা নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে লেখেন, তাঁর কাছে খবর এসেছে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে মমতা বনদ্যোপাধ্যায়কে নির্বাচনে জিতে বিধানসভায় যেতে হবে। আর সেই যাওয়া আটকাতে নির্বাচন কমিশন কয়েকমাসের মধ্যে কোনও নির্বাচনেরই আয়োজন করবে না। এটা সম্পূর্ণ বিজেপিরই চক্রান্ত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উল্লেখ্য, এবার ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তৃণমূলনেত্রী। তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেলেও অল্প কিছু ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হেরে যান। আর ভবানীপুর থেকে মমতার ছেড়ে যাওয়া আসনে জয়ী হন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যদিও পরে তিনি ওই আসনের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফাও দেন। ওই আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে কমিশন গড়িমসি করবে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ যশবন্ত সিনহা।