করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে কী করে হবে নির্বাচন। ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছে না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে এপ্রিলে ভোট পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল ও তামিলনাড়ুতে। কী করে সংক্রমণের আশঙ্কা সরিয়ে ভোটগ্রহণ হবে তা ঠিক করতে একের পর এক বৈঠক করে চলেছেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সূত্রের খবর, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে আসন্ন নির্বাচনে বদলাতে চলেছে ভোটগ্রহণের একাধিক নীতি।
সূত্রের খবর, সংক্রমণ কমাতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে বুথের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবছে কমিশন। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে প্রায় ৭৭,০০০ বুথ। আরও ৫০,০০০ বুথ বাড়তে পারে বলে সূত্রের খবর। তাতে বুথপিছু ভোটারের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০০। এতে কমিশনের ভোট করানোর খরচ কয়েকগুণ বাড়বে।
বুথ বাড়লে বাড়াতে হবে বাহিনীর সংখ্যাও। সেই সমস্যার সামাধানে আরও বেশি ধাপে ভোট করাতে চাইছে কমিশন। এমনকী একটি বিধানসভা কেন্দ্রে একাধিক ধাপে ভোট হতে পারে।
সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকায় ৬৫ বছরের বেশি ভোটারদের পোস্টাল ব্যালট ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হতে পারে বলে খবর। এতে তাঁরা যেমন সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচবেন তেমনই বুথে কমবে ভিড়। গত নির্বাচনে ৮০-র বেশি বয়সীদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করেছিল কমিশন।
কমিশন সূত্রের খবর, এবার নির্বাচনের ভোটগণনা হতে পারে ২ দিনে। এতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভিড় কমতে পারে বলে আশা তাদের। সঙ্গে ভোটের কালির বদলে ব্যবহার করা হতে পারে বিশেষ ধরণের একরকম স্টিকার। তার কালি হাতে লেগে থাকে দীর্ঘক্ষণ। ভোটারকেই সেই স্টিকার প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে নিজের আঙুলে লাগাতে হবে। ভোটযন্ত্রের বোতাম টেপার জন্য দেওয়া হতে পারে কাঠি।
তবে সব থেকে সমস্যা প্রার্থীর সংখ্যা নিয়ে। বিভিন্ন দল ও গোঁজপ্রার্থী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এক একটি কেন্দ্রে ১০ জন করে প্রার্থী থাকেন। তাঁদের এজেন্টরা বুথের মধ্যে কী করে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রেখে বসবেন তা বড় মাথাব্যাথা কমিশনের কাছে। সঙ্গে এই গোটা প্রক্রিয়ার খরচ নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।