পুরভোট নিয়ে গতকালই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়। তবে পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। যদিও এই বিষয়ে রাজ্যপালের কাছেও পরামর্শ নিতে পারেন নির্বাচন কমিশনার। তবে রাজ্যপালের সেই পরামর্শ যে কমিশনকে মানতেই হবে তার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। সূত্রের খবর , পুরভোটের নির্ঘণ্ট জারি নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার পরেই সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
গতকালের বৈঠকে পুরভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। শুধুমাত্র দুটি পুরসভায় ভোট কেন? সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এই পরিস্থিতিতে পুরভোট নিয়ে আবারও প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত। নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পরেই রীতিমতো টুইট করে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব এবং ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দেন রাজ্যপাল। বৈঠকে সমস্ত পুরসভার ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। কমিশন সূত্রের খবর, বৈঠকের পরেই নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যদিও কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও চিঠির জবাবে রাজ্যপালকে কিছু জানানো হয়নি।
কমিশনের আধিকারিকদের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপাল চাইলে নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিতেই পারেন, কিন্তু সেই পরামর্শ যে নির্বাচন কমিশনকে মানতেই হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। গতকালও দীর্ঘ বৈঠকে নির্বাচন কমিশনকে সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করার পক্ষে সওয়াল করেছেন রাজ্যপাল। তবে ভোট করানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র বিধান রয়েছে সংবিধানে।
অন্যদিকে, হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল ২০২১ এখনও রাজ্যপালের কাছে পড়ে রয়েছে। বালিকে হাওড়া পুরসভা থেকে আলাদা করার এই সংশোধনী বিলে রাজ্যপাল সই না করলে সে ক্ষেত্রে হাওড়া পুরসভায় ভোট করানোর ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কলকাতা পুরসভায় নির্ঘণ্ট জারি করতে পারে নির্বাচন কমিশন।