লোকসভা নির্বাচনে ঘাটালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেবের কাছে হারতে হয়েছে বিজেপি হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়কে। ওদিকে বসিরহাটে বিজেপির রেখা পাত্র বড় ব্যবধানে হেরেছেন তৃণমূলের কাছে। এই দুই কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। এই ফলাফল নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘাটাল, বসিরহাট ছাড়াও জয়নগর এবং ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করতে চলেছেন বিজেপির প্রার্থীরা। এই চার আসনের একাধিক বুথের সিসি ফুটেজ কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পরীক্ষার আবেদন করা হবে। এছাড়া সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হতে পারে।
এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করবেন ওই চার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। বসিরহাটে সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদের প্রার্থী পদ বাতিলের আবেদন করা হবে। জয়নগর, ডায়মন্ড হারবারের একাধিক বুথের সিসি ফুটেজ কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পরীক্ষার আবেদন করা হবে। ঘাটালের একাধিক বুথের সিসিটিভি ফুটেজও কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পরীক্ষার আবেদন করা হবে। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত চাইব আমরা।'
শুভেন্দু বলেন, 'ঘাটাল নিয়ে ১৯৫১ সালের পিপলস আইনে পিটিশন দায়ের করছেন হিরন্ময় চট্টোপাধ্য়ায়। কেশপুর এবং সবং থেকে তথ্য পেতে আবেদন জানাতে চলেছেন তিনি। তৃণমূল শুনে রাখুক, এই পিটিশন চার-পাঁচ বছর ধরে ঝুলে থাকবে না। ছ'মাসের মধ্যে যাতে মেটে, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।' এরপর শুভেন্দু দাবি করেন, 'রেখা পাত্র পিটিশন দায়ের করছেন বসিরহাট নিয়ে। কারণ যে আইনে দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, একই আইনে হাজি নুরুলের বাতিল হওয়ার কথা। এছাড়া অভিজিৎ দাস, ববি ডায়মন্ড হারবার নিয়ে পিটিশন দিচ্ছেন। তিনি ওয়েবকাস্টিং সিসিটিভি ফুটেজের তদন্ত হবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে। রিপোর্ট যদি পক্ষে আসে, তাহলে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল করে, সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন।'
এরপর নিশীথ প্রামাণিকের মামলার উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, '১৮ রাউন্ড পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন নিশীথ। ১৯-২০ রাউন্ডে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইভিএম নম্বরের সঙ্গে ১৭ সি ফর্মের ১৯-২০ রাউন্ডের নম্বর মেলেনি। এর জন্য প্রতিবাদ করতে গেলে বিজেপি-র কাউন্টিং এজেন্টকে জেলাশাসকের নির্দেশে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাঁচ দিন জেল খেটে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। আমরা কোচবিহারের বিষয়টিও খোঁজ খবর নিচ্ছি। যেহেতু ৩০ দিনের মধ্যে ইলেকশন পিটিশন করতে হয়, আমাদের হাতে সময় আছে কিছুটা। আপাতত চারটি পিটিশন মঙ্গল-বুধের মধ্যে জমা পড়ছে।'