পরের বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মার্চ মাসে হতে পারে কলকাতা পুরভোট। মঙ্গলবার এমনই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে এ ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার পর সেটি পুরভোটের পক্ষে উপযোগী করার আরও চার সপ্তাহের পর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন হতে পারে।
এখন ভোটার তালিকার সংক্ষিপ্ত সংশোধনী প্রক্রিয়া চলছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৫ জানুয়ারি। সেটি কলকাতা পুরসভার পক্ষে উপযুক্ত করে তুলে নেওয়ার জন্য প্রায় মাসখানেক সময় লাগবে। এর পর ভোট প্রস্তুতি নিতে সময় লাগবে আরও মাসখানেক। হিসেব করে দেখলে বোঝা যাচ্ছে, মার্চ মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে পারে পুরভোট।
উল্লেখ্য, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতা পুরসভা–সহ ১০৭টিরও বেশি পুরসভার নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। বর্তমানে এগুলি পরিচালনা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘পুরভোটে যে তৃণমূল জিতবে না তা তারা পরিষ্কার জানে এবং এ কারণেই এই ভোটের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জন্য নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতেই হবে।’
যদিও কলকাতা হাইকোর্ট মনে করে যে রাজ্যের মুলতুবি নির্বাচনগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। তাই চলতি সপ্তাহেই এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে তার অবস্থানের কথা জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টকে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানান, ‘আপাতত কলকাতা পুরভোটের ব্যাপারেই কথা হয়েছে। অন্য পুরসভার ভোট নিয়ে রাজ্য সরকার এখনও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
যদিও পুরভোট নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমরা সারা বছর ধরে কাজ করেছি এবং তাই আমরা কোনও পরীক্ষায় ভয় পাই না। বছরের যে কোন সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, কোনও অসুবিধা নেই।’