ফের কর্মসংস্থানের দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাও একেবারে পুজোর মুখে। তাঁর কথায়, চা বিস্কুট, ঘুগনি, তেলেভাজার ব্যবসা করুন, পুজো আসছে, দিয়ে কুলোতে পারবেন না। খেটে খেতে হবে, শরীরের নাম মহাশয়।
মুখ্যমন্ত্রীর এই চপ শিল্প নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। এমনকী চপ ভেজে প্রতিবাদও করেছেন বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা। তবে এর উলটো পিঠে চপ শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে পিএইচডি করার উদ্যোগও নিয়েছেন রায়গঞ্জের ছাত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রী টোন টিটকিরিকে উড়িয়ে দিয়ে ফের উৎসাহ দিলেন বেকার যুবক যুবতীদের। পাশাপাশি এই ব্যবসা কতটা লাভজনক সেটাও উল্লেখ করেন তিনি। এর সঙ্গে এবার নয়া সংযোজন চা বিস্কুট, ঘুগনি বিক্রির ব্যবসা।
উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের আওতায় খড়্গপুরের একটি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, আমার এই কথা শুনে অনেকেই টোন টিটকিরি দেন। আমি বলতাম, আপনার কাছে টাকা নেই। আপনি এক হাজার টাকা নিন। এক হাজার টাকা নিয়ে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাঁজ নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। আস্তে আস্তে বাড়বে। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন। তারপরের সপ্তাহে মাকে বললেন, মা একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও। তারপরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন।
মমতা বলেন, একটা টুল আর একটা টেবিল নিয়ে বসলেন। এই তো পুজো আসছে সামনে।দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না। আজকাল এত বিক্রি আছে। কোনও কাজ জীবনে ছোট নয়। যত মানুষ মাটি থেকে বড় হয়েছে এটা তাঁদের কাহিনি। এটাই তাঁদের গর্ব। আপনি একটা স্কিল ট্রেনিং নিয়ে এলেন, তাঁকে বলব বাড়িতেই দোকান করুন। একটু খেটে খেতে হবে। শরীরের নাম মহাশয়। সুযোগ পেলে শিক্ষকতাও করবেন। আগামীদিনে ৮৯ হাজার শিক্ষক নেওয়া হবে। সুযোগ পেলে কেন করবেন না।
এর সঙ্গে মমতার পরামর্শ দুর্গাপুজোয় ফোটা কাশফুলগুলোকে এককাট্টা করে, তুলো মিশিয়ে লেপ, বালিশ তৈরি হতে পারে।