গরুপাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সিবিআই দফতরে হাজিরা নিয়ে চূড়ান্ত নাটক। এদিন তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ ফুরানোয় সিবিআইয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে করোনার অজুহাত ফাঁদেন তিনি। যদিও রিপোর্ট দেখাতে পারেননি অভিযুক্ত। ফলে শেষ পর্যন্ত তদন্তকারীদের কাছে হাজিরা দিতেই হয় তাঁকে।
গত ৬ নভেম্বর গরুপাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুলকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু পরদিনই দিল্লির বিশেষ আদালত থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পান তিনি। সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ছিল জামিনের মেয়াদ। তার আগে তদন্তকারীদের সামনে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
সেই মতো সোমবার বেলা ১০.৪৫ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরের নীচে গাড়ি করে হাজির হন এনামুল। এর পর সিবিআইয়ের আধিকারিকদের তিনি ফোন করে জানান, তাঁর করোনা হয়েছে। তখন করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে চান আধিকারিকরা। কিন্তু তা দেখাতে পারেননি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। এর পর তাঁকে দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেন গোয়েন্দারা।
সিবিআই দফতরে বসে এনামুল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রবিবার বিকেলে তাঁর সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তার পর যদি সিবিআই পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তো ভাল কথা।
অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, কোনও প্রভাবশালীর সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেন হয়নি। সমস্ত আইন মেনে বৈধ উপায়ে ব্যবসা করেছেন তিনি। তার যাবতীয় নথি তাঁর কাছে রয়েছে।