ভোট–পঞ্চমীর আগে ফের সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি। কারণ এবার ফের চাপ বাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। এবার আইকোর মামলায় মদন মিত্রের ছেলে স্বরূপ মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করল ইডি। আর ডাকা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়াকেও। এর আগে প্রয়াত আইকোর প্রধান অনুকূল মাইতির স্ত্রী কণিকা মাইতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেখান থেকে তাঁদের হাতে উঠে এসেছিল কিছু তথ্য। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়াকে ১৯ এপ্রিল সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার তার সঙ্গে যোগ হল স্বরূপ মিত্রের নাম।
কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মদন মিত্রের শনিবার ভাগ্য পরীক্ষা। তার আগেই এই তলব কিছুটা হলেও চাপে রাখবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে বলে মনে করা হচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, স্বরূপ মিত্রকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে আগামী ২৩ এপ্রিল। কয়েকদিন আগে থেকেই আইকোর মামলায় সক্রিয় হয়েছে ইডি। অনুকূল মাইতির স্ত্রী কণিকা মাইতিকে ১৩ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন আধিকারিকরা। অনুকূলের মৃত্যুর পর কণিকাই ছিলেন ইডির একমাত্র ভরসা। কণিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর একাধিক রাজনৈতিক নেতাকে তলব করছে ইডি।
জানা গিয়েছে, আইকোর তদন্তে নেমে ইডির হাতে এসেছে একটি ভিডিও ফুটেজ। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়াকে দেখা গিয়েছে বলে খবর। মানসবাবু আইকোরের ওই অনুষ্ঠানে কেন গিয়েছিলেন তা জানাতে চাইবে ইডি। আইকোরের সঙ্গে মানসবাবুর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। মানসবাবুকে হাজিরা দিতে হবে ১৯ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা তোলার অভিযোগে অনুকুল মাইতিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারও আগে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি ২০১৫ সালে গ্রেফতার করেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এই চিটফান্ড সংস্থার প্রধানকে। সিবিআই গ্রেফতার করার পরে ওড়িশার জেলে মৃত্যু হয় তাঁর।