বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > গরুপাচার কাণ্ডে হাতযশ রয়েছে বিএসএফের, ইডির চার্জশিটে উঠল চাঞ্চল্যকর তথ্য

গরুপাচার কাণ্ডে হাতযশ রয়েছে বিএসএফের, ইডির চার্জশিটে উঠল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাজেয়াপ্ত গরু (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

গরুপাচার মামলার চার্জশিটে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি উল্লেখ করেছেন অফিসাররা। সূত্রের খবর, একাধিক ফোন কলের রেকর্ড খতিয়ে দেখেই এই তথ্য সামনে আসে। ইডি’‌র প্রশ্নের উত্তরে সায়গল দাবি করেছেন, কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক থেকে নেতা অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকে ফোন করতেন।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ তুলেছেন গরু–কয়লা পাচারে জড়িত বিএসএফ। কারণ সীমান্তের সুরক্ষায় তাঁরাই আছেন। আর তাঁদের সাহায্য ছাড়া পাচার কাজ অসম্ভব। এবার মমতা–অভিষেকের অভিযোগকেই যেন সিলমোহর দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। কারণ ইডি চার্জশিটে দাবি করেছে, বিএসএফের যোগসাজশেই গরুপাচার করা হতো। গরুপাচার মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনের থাকা বিএসএফের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি করল কেন্দ্রীয় সরকারের আর একটি সংস্থা ইডি।

এদিকে সূত্রের খবর, চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য উল্লেখ করে ইডি’‌র দাবি, গরুবোঝাই ট্রাকগুলিকে একটি টোকেন দেওয়া হতো। একটি সিন্ডিকেট এই টোকেন দিত। কোথাও গরুবোঝাই ট্রাক আটকালে ওই টোকেন দেখালেই সীমান্তে যাওয়ার সবুজ সংকেত পাওয়া যেত। চার্জশিটে ইডি’‌র দাবি, রাত ১১টা থেকে ৩টে—এই চার ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশে গরুপাচার হতো। গোটা অপারেশন রাতের অন্ধকারে বিএসএফের হাতযশেই হতো। এতে প্রত্যক্ষ মদত ছিল বিএসএফের। তবে সবাই জড়িত নয়। কিছু বিএসএফ জওয়ান এই কাজ করত এবং বিনিময়ে মোটা টাকা নিত।

অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ সীমান্তে কয়েকটি পয়েন্ট ঠিক করা হয়েছিল। যেখানে থাকত উপযুক্ত জওয়ান। আর সেখান দিয়েই নদী পথে বাংলাদেশে গরু পাচার করা হতো। এই নিয়ে বিএসএফ অফিসারদের সঙ্গে আগে থেকেই পরিকল্পনা করা থাকত। এই সমঝোতা করার কাজটি করত এনামুল হক। বেশ কয়েক মাস আগে এক বিএসএফ কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই মামলা এখনও চলছে। অর্থাৎ বিএসএফের সঙ্গে একটা গোপন আঁতাত থাকত বলেই এই পাচারের কাজ সহজে করা যেত। ইডির পক্ষ থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে চার্জশিটে বলে সূত্রের খবর।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ গরু পাচারকারীরা সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। গরুপাচার মামলার চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি উল্লেখ করেছেন ইডি অফিসাররা। সূত্রের খবর, একাধিক ফোন কলের রেকর্ড খতিয়ে দেখেই এই তথ্য সামনে আসে। আর এই কল রেকর্ড নিয়ে ইডি’‌র প্রশ্নের উত্তরে সায়গল দাবি করেছেন, কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক থেকে নেতা অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকে ফোন করতেন। ইডি সূত্রে খবর, চার্জশিটের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে সায়গল–গরু পাচারকারীদের কথোপকথনের কল রেকর্ড।

বন্ধ করুন