রাতভর জেরার পর নাকতলার বাড়ি থেকে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আজ, শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ পার্থবাবুর বাড়ি থেকে তাঁকে গাড়িতে নিয়ে বেরিয়ে যান ইডি’র কর্তারা। এই ঘটনার পরেই জানা গেল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে আটক করেছে ইডি।
ঠিক কী ঘটেছে শহরে? এদিন পার্থবাবুকে সাড়ে পঁচিশ ঘণ্টা জেরা করার পর গ্রেফতার করে ইডি। আর অর্পিতার বাড়িতে শুক্রবার দুপুর থেকে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন ইডি কর্তারা। সেখান থেকে নগদ ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকালে বেলঘরিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ হাতে আসে ইডি’র অফিসারদের। আর তারপর অর্পিতাকে আটক করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আর কী ঘটেছে সেখানে? পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারির পর সই করানো হয় অ্যারেস্ট মেমোয়। তার পরেই বেরিয়ে আসেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত। তিনি তার পরেই বেরিয়ে এসেই তিনি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। আমরা আশা করি আজই ইডি আদালতে পেশ করা হবে পার্থকে। পার্থকে সরসারি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে। নাকতলার ব্যস্ত রাস্তা থেকে গাড়ি বেরিয়ে যায় সিজিও কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্যে।’
জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়ার আব্দুল লতিফ স্ট্রিটে বাড়ি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। সেখানে থাকেন অভিনেত্রীর মা। বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। অর্পিতা মডেলিং করতেন। নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের প্রচারে যুক্ত হন। সেই সূত্রেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আলাপ। তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হবে। হরিদেবপুরে অর্পিতার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। শুক্রবার সেখানেই আচমকা হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর চলে তল্লাশি। অর্পিতাকে চাপ দিতেই বেরিয়ে আসে টাকা। কার্যত নোটের পাহাড় দেখা যায় তাঁর ঘরে। সেই ছবি পোস্ট করে, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইডি জানায় অর্পিতা, পার্থ–ঘনিষ্ঠ।