বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > পুরসভাগুলিতে নিয়োগ হয়েছে কেমন করে?‌ ফিরহাদের দফতরকে চিঠি ইডি’‌র

পুরসভাগুলিতে নিয়োগ হয়েছে কেমন করে?‌ ফিরহাদের দফতরকে চিঠি ইডি’‌র

দুই দফতরকে চিঠি দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌।

ইডি ওই অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট পেয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। অয়নের সংস্থা যে উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে তাতে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে মনে করা হচ্ছে। কারণ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১০০০ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে অয়ন ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি।

একাধিক পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া কেমন করে হয়েছে?‌ এই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে প্রথমবার রাজ্যের দুই দফতরকে চিঠি দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। গত ৮ বছরে কেমনভাবে নিয়োগ হয়েছে পুরসভাগুলিতে? কারা নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছে? এইসব প্রশ্ন তুলেই চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দফতরে। এইসব প্রশ্নের উত্তর উল্লেখ করে রিপোর্ট পেলে অয়ন শীলের অফিস থেকে প্রাপ্ত তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর। মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন এবং পুর নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি দিল ইডি।

এদিকে পুরমন্ত্রীর দফতরে দুর্নীতির তদন্তে চিঠি পাঠানোর কথা প্রকাশ্যে আসায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ২০১২ সালের পর থেকে পুরসভায় নিয়োগের দায়িত্বে ছিল এই মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন। ২০১৭ সাল থেকে পুরসভাগুলিতে কেমনভাবে নিয়োগ হয়েছে? কোন সংস্থা টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্ব পেয়েছিল? কারা চাকরি পেয়েছে? এই রিপোর্ট পেলে তারপর তদন্ত করতে সহজ হবে। কারণ অয়ন শীলের সল্টলেকের ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া পুরসভা নিয়োগের তালিকার সঙ্গে রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা হবে। তাতেই দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নের সল্টলেকের অফিসে থেকে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মিলেছে। ইডি ওই অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট পেয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। অয়নের সংস্থা যে উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে তাতে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে মনে করা হচ্ছে। তাই এই দুই সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়েছে ইডি। কারণ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১০০০ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে অয়ন ৪৫ কোটি টাকা তুলেছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজেনের মাধ্যমে রাজ্য়ের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। সেখানে অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে অযোগ্যরা বলে অভিযোগ। এই দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে তদন্ত শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাদের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে আগের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন‌্হা।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন