বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Enforcement Directorate: কী কারণে টাকার লেনদেন হয়েছে? ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরোলেন মানিক ভট্টাচার্য

Enforcement Directorate: কী কারণে টাকার লেনদেন হয়েছে? ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরোলেন মানিক ভট্টাচার্য

মানিক ভট্টাচার্য

গত শুক্রবার যাদবপুরে মানিক ভট্টাচার্যর দু’টি ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি’‌র অফিসাররা। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট বেনিয়ম মামলায় ২০ জুলাই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়।

সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা। ১৪ ঘণ্টা ধরে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। কিন্তু ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের শেষে মাঝরাতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেও স্পিকটি নট থাকেন মানিক ভট্টাচার্য। উত্তর না দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে মাথা নিচু করে বেরিয়ে যান তিনি।

ঠিক কী জানা যাচ্ছে?‌ ইডি সূত্রে খবর, রাত সওয়া ১২টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়। একাধিক প্রশ্ন তাঁকে করা হয়েছিল। তার পরে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান। তবে যে নথি পাওয়া গিয়েছে তাতে ২০১২ সালের টেটের রিভিউ লিস্টের চাকরিপ্রার্থীদের নাম লেখা। পাশে টাকার অঙ্ক। নীচে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নামের আদ্যক্ষর। এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে ইডির ব্রহ্মাস্ত্র এখন এই চিরকুট এবং লেনদেনের কাগজই।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ গত শুক্রবার যাদবপুরে মানিক ভট্টাচার্যর দু’টি ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি’‌র অফিসাররা। ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট বেনিয়ম মামলায় ২০ জুলাই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের নির্দেশে মানিককে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মিলেছে একটি সিডি–নথি।

ঠিক কী প্রশ্ন করল ইডি?‌ ইডি সূত্রে খবর, মূল প্রশ্ন দু’টি করা হয়—কী কারণে টাকার লেনদেন হয়েছে? রিভিউ তালিকাই বা কেন বের করতে হল? মানিকের সামনে ইডি অফিসাররা রিভিউ লিস্ট তুলে ধরা হয়। সেখানে দেখা যায়, সফল প্রার্থীদের নাম নেই। কেন? কার নির্দেশে এই কাজ করা হল? ব্যাখ্যা চাওয়া হয় মানিকবাবুর কাছে। টাকা নিয়ে কেন চাকরি বিক্রি করা হল? এই সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি মানিকবাবু।

বন্ধ করুন