কলকাতায় আবার হানা দেয় ইডির তদন্তকারীরা। স্বাস্থ্য দফতরে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করার অভিযোগ ওঠে বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের নামে। তাই কসবা এলাকায় বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল ইডি। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ সেখানে যান ইডি অফিসাররা। রাতেও চলে তল্লাশি। আজ, শুক্রবার ভোরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা।
ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুর সংস্থা প্রগনসিস মেডিকেল সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড এই বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা এবং আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। স্বাস্থ্য দফতরে তিনটি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে বুধাদিত্য দফায় দফায় ২৬ কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছে ওই সংস্থা। এছাড়া ভুয়ো নথি তৈরি, আইএএস অফিসারের সই নকল এবং স্বাস্থ্য দফতরের সিল জাল করে তিনি প্রতারণা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে প্রায় ২১ ঘণ্টা তল্লাশি করার পর আজ, শুক্রবার ভোর ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ ইডি অফিসাররা কসবার অভিজাত আবাসন থেকে বেরিয়ে যান। তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। ফেব্রুয়ারি মাসে শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি অফিসাররা। গত সপ্তাহেই ১০–১২ জনের নয়াদিল্লির আধিকারিকদের দল হানা দেয় বালিগঞ্জ এলাকায়। বালিগঞ্জে নির্মাণ সংস্থা ‘গজরাজ গ্রুপ’ সংস্থার কর্ণধার বিক্রম শিকারিয়ার বাড়ি এবং অফিসে হানা দিয়েছিল ইডি’র গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আগে থেকেই বহু অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে বুধাদিত্যকে আনন্দপুর থানার পুলিশ একটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল। শেক্সপিয়র সরণি থানা এবং নিউ টাউন থানাতেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ২০২২ সালে বুধাদিত্য জামিন নিয়ে বাইরে আসেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ৩৭ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং ক্লিনিকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই ব্যক্তির ফ্ল্যাটেই রাতভর অভিযান চালায় ইডি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup