রাজ্যে ইডির দাপট ব্যাপকভাবে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েক মাস ধরে। গ্রেফতার থেকে শুরু করে ধরপাকড় করতে দেখা গিয়েছে। এবার একসঙ্গে আটজন তদন্তকারী অফিসারের কার্যকালের মেয়াদ বাড়াল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই অফিসারদের মধ্যে অনেকেই বাংলায় এসএসসি দুর্নীতি, কয়লা এবং গরু পাচারের তদন্ত করছেন। বাংলার এই তিন মামলার তদন্তের জন্য ইডির এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কাদের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে? ইডি সূত্রে খবর, মোট আট অফিসারের কারও দু’বছর, কারও তিন বছর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর সোনিয়া নারাঙ্গ, যোগেশ শর্মা, জয়েন্ট ডিরেক্টর সুদেশ কুমার শেওরানের মতো অফিসারদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এনারা ইডির উচ্চপদস্থ অফিসার। আর এই আটজনের মধ্যে অনেকেই কয়লা, গরু পাচার এবং এসএসসি দুর্নীতির তদন্ত করছেন। সুতরাং সেখানে গতি বাড়াতেই এই মেয়াদ বৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? সূত্রের খবর, দুটো কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি। এক, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যে থরহরিকম্প ধরিয়ে দিয়েছে ইডি। তাতে কেন্দ্রের শাসকদল এরাজ্যে অক্সিজেন পেয়েছে। দুই, এই কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের পুরষ্কৃত করা হল। ইডির অফিসারদের জন্যই টাকার পাহাড় সামনে এসেছে। গত ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। আর ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছিল। গরু–কয়লা মামলায় ইডি তদন্তের গতি বাড়িয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই রাজ্যে শিক্ষা দুর্নীতিকে দেশের অন্যতম বড় দুর্নীতি হিসাবে দেখা হচ্ছে। তাই এই দুঁদে অফিসারদের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এবার উৎসবের আবহ মিটে যেতে চলেছে। তারপর আবার সক্রিয় হয়ে উঠবেন ইডির অফিসাররা। তদন্তের গতি ফের বাড়াতেই এই কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে।