আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে শহর থেকে জেলায় দাপিয়ে বেড়ালেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসাররা। আর তাতেই চাপ বাড়তে থাকে অনেকের। দমদম গোরাবাজার এলাকায় ব্যাংক জালিয়াতি মামলায় ইডি তলাশি চালায় সঞ্জয় গুপ্তার বাড়িতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আজ ভোরবেলা এসে পৌঁছয় সেখানে। কিন্তু বাড়িতে সঞ্জয় গুপ্তা না থাকার জেরে ইডির দল দমদম গোরাবাজার এলাকা থেকে বেরিয়ে যায় ইডির গাড়ি। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় আজ হানা দেন ইডি অফিসাররা। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে বেলুড় এলাকার গিরিশ ঘোষ রোডে আজ সকালে ইডি হানা দেয়। ৯০ নম্বর গিরিশ ঘোষ রোডে রানী রাসমণি অ্যাপার্টমেন্টে কৈলাস শরাফ নামে এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় ইডি। বেলুড়ের আরও এক জায়গা ভোটবাগান এলাকাতেও ৪০ নম্বর জালিগেট পাড়ায় ইশান প্লাস্টিক নামের একটি কারখানাতেও একইভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় ইডি অফিসাররা। তিন–চারজন ইডির অফিসার তল্লাশি চালান। ঘরের ভিতর কোনও আবাসিককেই ঢুকতে দেওয়া হয় না। কৈলাস শরাফ কয়লার ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: দুঁদে আইপিএস অফিসার নিযুক্ত হলেন লিগ্যাল অ্যাডভাইসার পদে, বড় পুরষ্কার প্রসূনের
অন্যদিকে আসানসোলের কয়লা ব্যবসায়ী সঞ্জয় সুরেখার সহযোগী হিসেবে কৈলাস শরাফ কাজ করতেন। এই তথ্য ছিল ইডির অফিসারদের কাছে। তাই একের পর এক হানা দেওয়া হয়। আজ সকালে তাঁর ফ্ল্যাটে ইডি অভিযান শুরু করতেই আলোড়ন পড়ে যায় ওই আবাসনে। কেন হানা দিলেন ইডি অফিসাররা? সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন। কলকাতার নানা জায়গাতেও আজ হানা দেয় ইডি। শহরের একটি ব্যাংক প্রতারণা মামলার তদন্তে নেমে গড়িয়াহাট, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা অভিযান চালায়।
এছাড়া আজ বৈদ্যবাটির চ্যাটার্জি পাড়ায় একটি বাড়িতে হানা দেন ইডি অফিসাররা। যা নিয়ে এলাকায় বেশ থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে দুটি গাড়িতে করে চারজন ইডি অফিসার সেখানে আসেন। জওয়ানদের নিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েন ইডির তদন্তকারী দলটি। ওই বাড়িটির মালিক শান্তনু পোদ্দার। তাঁর টাকা লেনদেন করার বিষয় নিয়ে নানা অভিযোগ ছিল। কলকাতার ধর্মতলায় লোহার যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী একটি প্রাইভেট সংস্থায় চাকরি করেন শান্তনুবাবু। কয়েকদিন আগেও তাঁর বাড়িতে আয়কর দফতর থেকে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল।