চিকিৎসা আগে না তদন্ত আগে? কার্যত এই প্রশ্নই শুনতে হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পক্ষের আইনজীবীকে। চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন ইডি’র অফিসাররা। আর সেই আপত্তি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিষয়ে মামলা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
ঠিক কী ঘটেছে কলকাতা হাইকোর্টে? আজ, বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুবাই যাত্রায় সম্মতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইডি এই সফর নিয়ে আপত্তি তোলায় মামলা করেছিলেন সাংসদ। আর তা খারিজ হয়ে যাওয়ায় চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী দুবাই যাওয়ার সময় অভিষেকের সঙ্গে থাকতে পারবেন তাঁর স্ত্রী রুজিরাও।
আর কী জানিয়েছে আদালত? কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, দুবাইয়ে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন অভিষেক, কোথায় থাকছেন, বিমানের টিকিট এবং দুবাইয়ের ফোন নম্বর ইডিকে জানাতে হবে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। এখানে বিচারপতি ইডি’র আইনজীবীকে বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অমূলক। তাই চিকিৎসা করতে যেতে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে।’
কী কী প্রশ্ন করা হয় ইডি’র আইনজীবীকে? এদিন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এফআইআর–এ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীর নাম আছে? উত্তর আসে না। যখন ডাকা হয়েছে, ইডির অফিসে সাড়া দিয়েছেন তাঁরা? উত্তর আসে হ্যাঁ। সুতরাং তদন্তে অসহযোগিতা করার প্রশ্নই নেই। ইডি’র পক্ষ থেকে আপত্তি তুলে বলা হয়েছিল যে, অভিষেক বিদেশে গিয়ে বিনয় মিশ্রের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। অভিষেক দুবাইয়ে পালিয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ইডি। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অমূলক। তারপরই আদালতের প্রশ্ন, ‘যখন জানেন বিনয় মিশ্র দুবাইয়ে আছেন, তাহলে কী পদক্ষেপ করেছেন?’