আজ, শনিবার শহরজুড়ে ইডি’র তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হয় ইডি’র তিনটি দল। পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার ৩৪এ, ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের একটি বহুতলে এক আইনজীবীর খোঁজে হানা দেন ইডি অফিসাররা। আবার গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। সেখানে পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ি। ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছেন দুই মহিলা অফিসারও। চলছে জোর তল্লাশি।
কেন এই তল্লাশি অভিযান? ইডি সূত্রে খবর, গার্ডেনরিচে ওয়াহিদ রহমান নামে এক ব্যক্তির সন্ধানে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে কয়েকটি বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার পর পার্ক স্ট্রিটের ৩৪/এ ম্যাকলয়েড স্ট্র্রিটের আবাসনে যান ওই অফিসাররা। আবাসনে গিয়ে ওই ব্যক্তির খোঁজখবর করার পর আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে যান। পেশায় আইনজীবী বাবা–ছেলের আবাসনে এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে আর্থিক বেনিয়মেই এই হানা বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শহর কলকাতা এবং শহরতলিতে সিবিআই–ইডির হানা দেখা গিয়েছিল। বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর আপ্ত–সহায়ক এবং নিরাপত্তারক্ষীকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে তদন্তকারী অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই নিরাপত্তারক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আপ্ত–সহায়ক রবিন্দর সিংকে রাতভর জেরা করা হয়। সোদপুরের রাজেন্দ্রপল্লির একটি বাড়িতে হানা দেন ইডির অফিসাররা। বাগুইআটিতে দীপঙ্কর হীরা নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই।
হঠাৎ কেন আবার ইডি’র হানা? সূত্রের খবর, এখন রাজ্যে একাধিক মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই–ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা যে সব তদন্ত করছে, তার মধ্যে অন্যতম নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। শনিবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হয়ে এই তৎপরতা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। কোনও সূত্র মারফত খবর পেয়েই পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায় ৩৪এ নম্বর ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের একটি বহুতলে হানা দেন। তবে কী কারণে হানা তা নিয়ে মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় এজেন্সি।