এবার নোটবন্দির অনুসন্ধানে নামতে চলেছে ইডি। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দি হয়েছিল। তখন দেশ জুড়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পুরনো নোট বদল করেছিলেন নতুন নোটে। সেই বিপুল পরিমাণ নগদ যাঁরা বদল করেছিলেন এবার সেই টাকা এবং ব্যক্তিদের উপর তদন্ত করতে চলেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। কারণ এই তদন্তে বাংলাকে ফোকাস করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? সূত্রের খবর, আয়কর দফতরের তদন্তকারী টিমের কাছে নোট বাতিল সংক্রান্ত ফাইল চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ইডি এই ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছে। দেশের অন্যান্য রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পাশাপাশি বাংলার প্রভাবশালীদের সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছে। একাধিক ব্যাঙ্কের মাধ্যমে নোটবন্দির টাকা বদল করা হয়েছিল তখন বলেও অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত নথি আয়কর দফতরের কাছে চেয়ে পাঠানো হযেছে।
কী জানতে পেরেছে ইডি? ইডি সূত্রে খবর, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জমিয়ে রাখা কালো টাকা এই সুযোগে অনেকটা সাদা করে ফেলে। পুরনো ৫০০, ২০০০ টাকার নোট আত্মীয়স্বজনদের হাত ঘুরিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বদলে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ। বহু ব্যবসায়ী এই কাজে জড়িত বলে ইডি জানতে পেরেছে। এই রাজ্যের প্রভাবশালীদের টাকা কেমন করে বদলে ফেলা হয়েছিল তা জানতেই তৎপরতা শুরু করতে চাইছে ইডি।
আর কী জানা যাচ্ছে? আয়কর দফতর পুরনো নোট বদল নিয়ে তদন্ত করেছিল। তখন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর অ্যাকাউন্ট থেকে এমন নোট বদলের তথ্য মেলে যারা মধ্যস্থতাকারী মারফত নোট বদল করেছিলেন। এবার সেই তথ্য তুলে দেওয়া হবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে। আজ সিবিআই নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘সিবিআই গত কয়েক বছর ধরে এখানে সেটিং করেছিল। অর্থমন্ত্রক বুঝে ইডিকে পাঠিয়েছে। সেটিং যারা করেছে, তারাই এখন বলছে, ইডি কেন? কারণ এই কুকুরটা পোষ মানবে না, কামড়াবে। তবে ওষুধ কম হচ্ছে অসুখ অনুযায়ী।’