এই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। তবু মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পরই কিছু নিশ্চিত করে বলা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন সোহমের মা। তিনি এখন কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন।
ক্রিকেট খেলতে যেতে না পারায় আত্মঘাতী হল এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। মৃতের নাম সোহম বসু(২১)। সে কসবার বাসিন্দা। বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে যেতে চেয়েছিল সে। আর তাতে বাধা দেন মা। সামনে পরীক্ষা এখন খেলা কিসের? এই প্রশ্ন তুলে মায়ের বকুনি শোনে ছাত্রটি। তার পরই কসবায় ঘর থেকে মিলল ইঞ্জিনিয়ার পডুয়ার ঝুলন্ত দেহ। ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান। যদিও কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।
ঠিক কী ঘটেছে কসবায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, বন্ধুরা ক্রিকেট খেলতে ডাকতে এলে সোহমের মা তাদের ফিরিয়ে দেন। আর সামনে পরীক্ষা আছে বলে ছেলে সোহমকে পড়তে বসতে বলেন। সামনে পরীক্ষা এখন খেলা কিসের? এই বলে তারপর শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সোহমের মা–বাবা একটি কাজে বাড়ির বাইরে বেরোন। প্রায় ১ ঘণ্টা পর তাঁরা ফিরে এসে সোহমকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তড়িঘড়ি সোহমকে ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তারপর ঠিক কী হল? এই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। তবু মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পরই কিছু নিশ্চিত করে বলা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন সোহমের মা। তিনি এখন কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন।