প্রায় দেড় বছর আগে অভিযোগ দায়ের হলেও নেওয়া হয়নি কোনও পদক্ষেপ। তবে ইডি তদন্ত শুরু করতেই ই-নাগেট গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে সক্রিয় কলকাতা পুলিশ। এই আবহে গতকাল গিরিশ পার্ক, নিউ মার্কেট, বেহালা, পার্ক স্ট্রিট সহ মোট ৯টি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের অনুমান, ই-নাগেট অ্যাপের পাশাপাশি যে কল সেন্টারের ব্যবসা আমির চালাত, তার সঙ্গে যোগ রয়েছে ‘সেক্সটর্শনে’র। জানা গিয়েছে, এর ভিত্তিতে একটি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে গিরিশ পার্ক থানায়।
গতকাল পুলিশ দমদম নাগেরবাজার, বেকবাগানের পদাতিক বিল্ডিং, গিরিশ পার্ক, পোস্তা, পদ্মপুকুরের ধামী, নিউ মার্কেটের নিগম সেন্টার, মহাবীরতলা টিসি রোডের উৎসব বিল্ডিং, পার্ক স্ট্রিটের এলিয়ট রোড, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডে হানা দিয়ে প্রচুর সংখ্যক কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থার নথিও উদ্ধার হয়েছে তল্লাশি চলাকালীন। এই অভিযানেই সেক্সটর্শন সম্পর্কিত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, গার্ডেনরিচের আমির খান সেক্সটর্শনের মাধ্যমে বহু লোককে প্রতারণা করেছে।
কীভাবে হত এই প্রতারণা? মহিলার নামে ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে পুরুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। এরপর অশ্লীল ভিডিয়ো পাঠানো হত বা বা নগ্ন ভিডিয়ো কল করা হত। এরপর সেই পুরুষের থেকে টাকা চাওয়া হত। হুমকি দেওয়া হত, টাকা না দিলে চ্যাটের স্ক্রিনশট ফাঁস করে দেওয়া হবে।
এদিকে গেমিং অ্যাপে প্রতারণা-কাণ্ডে তদন্তে উঠে এসেছে বিদেশি যোগের তথ্যও। বিদেশ থেকে স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারের সাহায্যে জালিয়াতি করা হত বলে জেনেছে পুলিশ। এদিকে গোটা ঘটনায় নেদারল্যান্ডের যোগসূত্র পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। গত পরশু নেদারল্যান্ডের বাসিন্দা এক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। গতকালও তাকে বেশ কিছু নথি নিয়ে দফতরে আসতে বলেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। অনলাইন গেম প্রতারণায় বেশ কিছু টাকা নেদারল্যান্ডের বাসিন্দা ওই মহিলার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।