কোনও কর্মী নেই, অথচ চলছে একাধিক কম্পিউটার। পাশাপাশি সার্ভারও চলছে। আসলে এগুলি হল স্বয়ংচালিত কম্পিউটার। আর এই কম্পিউটার ব্যবহার করেই টেকনোলজির উপর ভর করে বিদেশে বসে চলত জালিয়াতি। ই-নাগেটস অন লাইন গেম মামলার তদন্তে এমনই চাঞ্চলকর তথ্য পেল কলকাতা পুলিশ। গতকাল বুধবার শহরের পাঁচটি জায়গায় হানা দেয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। তাতেই এই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ।
মহিলার অ্যাকাউন্টে ৩০ কোটি টাকার লেনদেন, গেমিং প্রতারণায় গ্রেফতার পাঁচ
তদন্তে সল্টলেকের একটি অফিস থেকে ১৯৫২ সিম উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও, উদ্ধার হয়েছে সিম বক্স নামে যন্ত্র। পুলিশ জানতে পেরেছে, এই সিম গুলি ব্যবহার করে আলাদা আলাদা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। সিম বক্সের মাধ্যমে সার্ভার সিস্টেমের সাহায্যে ওটিপি জেনারেট করে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন চলত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। আর এই সমস্ত করা হচ্ছিল বিদেশে বসে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান দুবাই থেকে এই সব চালনা করা হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, যে সিমগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাতে প্রতিটিতে আলাদা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও একাধিক ব্যাঙ্কের নথি এবং এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে সল্টলেকের ওই অফিস থেকে।
ইতিমধ্যেই এই অনলাইন গেমের অ্যাপ ক্রিয়েটর আমির খানকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার ১৪ কোটি মূল্যের বিটকয়েন বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি ইডিও তার ১৩ কোটি ক্রিপ্টো কারেন্সির সন্ধান পেয়েছে। গতকাল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সিম, এটিএম কার্ড, ব্যাঙ্কের নথি উদ্ধারের পাশাপাশি চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।