এখন সবকিছুই মেলে দুয়ারে। তাই এবার ‘দুয়ারে পেনশন’ দেওয়ার কথা ভাবচিন্তা করছে শ্রমমন্ত্রকের আওতায় থাকা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও। পিএফের সুবিধাপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের জন্য এই প্রকল্প শুরু হয়েছে রাজ্যে। প্রকল্পটির নাম ‘প্রয়াস’। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য, অবসরের দিনই কর্মীর হাতে পেনশন তুলে দেওয়া। এমনকী সংশ্লিষ্ট সংস্থা চাইলে সেই কর্মীর অফিসে গিয়েই সেই পেনশন পৌঁছে দেবেন ইপিএফও কর্মীরা।
কেন এমন উদ্যোগ নেওয়া হল? ইপিএফও সূত্রে খবর, আগে নিজের হকের পেনশন পেতে গেলে জুতোর শুকতলা খোযাতে হতো। এমনকী পিএফ অফিসের নানা অজুহাত থেকে উৎকোচের চাপে পড়তে হতো। এখন সমস্যা অনেকটা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। তবে সম্পূর্ণ সমাধান হয়নি। তাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে পুরোপুরি সমাধানের রাস্তায় হাঁটতে চাওয়া হচ্ছে।
গোটা প্রক্রিয়াটি ঠিক কেমন? এই বিষযে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও আন্দামান–নিকোবরের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় পিএফ কমিশনার রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘গত কয়েক বছরে গ্রাহক স্বার্থে পিএফের বেশ কিছু প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিগত বদল ঘটেছে। আর এখন অবসরের দিন পেনশন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই, পিএফের সুবিধা দেওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি আমাদের সাহায্য নিক। তারা যদি আমাদের জানায়, তাহলে আমরাই দফতরের কর্মী বা অফিসারদের সেই সংস্থায় পাঠাব। তিনি কর্মীর হাতে পেনশনের নথি তুলে দেবেন। সম্প্রতি এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
কিভাবে সেটা সম্ভব হবে? ইপিএফও সূত্রে খবর, অবসরের দিন পেনশন পেমেন্ট অর্ডার পেতে গেলে আগে থেকেই পিএফ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। নথি জমা দিতে হবে। কর্মীকে ই–নমিনেশন করিয়ে রাখতে হবে। কেওয়াইসি সংক্রান্ত তথ্য সেরে রাখতে হবে। সংস্থাই অবসর নিতে যাওয়া কর্মীর পিএফ অ্যাকাউন্টে অগ্রিম টাকা জমা করবেন। যে মাসে কর্মী অবসর নেবেন, সেই মাসের ১৫ তারিখের আগে জমা করতে হবে ইলেকট্রনিক চালান কাম রিটার্ন। তবেই প্রয়াস প্রকল্প কাজ করবে।