ইএসআইয়ের কার্ড থাকলে কোনও কর্মী বা সদস্যের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে, মৃতের পরিবারের পেনশন পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ইএসআই অন্তর্ভুক্তরা বাড়িতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলেও পারিবারিক পেনশনের জন্য উপযুক্ত। কিন্তু আওতাভুক্ত অনেক পরিবারই তা জানেন না। ফলে, এই সুবিধা থেকে বঞ্চিতই থেকে যাচ্ছেন অনেকে। আবার অনীহার কারণেও অনেক পরিবার এই পেনশন পাওয়ার জন্য আবেদনই করেননি। সেক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পরিবারের তরফে কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছে ইএসআই কর্তৃপক্ষ।
অতিমারীতে স্বজন হারানো ইএসআই অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলোর জন্য যে পারিবারিক পেনশনের সুবিধা রয়েছে, এবার তা সবাইকে জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইএসআই কর্তৃপক্ষ। কারণ ইএসআই আশঙ্কা করছে, তাদের আরও অনেক সদস্য অতিমারিতে প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে একাংশ হয়তো বাড়িতেই মারা গিয়েছেন। কিন্তু মৃতদের পরিবার পেনশনের বিষয়ে জানেন না।
এপ্রসঙ্গে রাজ্যে ইএসআইয়ের আঞ্চলিক ডিরেক্টর অক্ষয় কালা বলেন, ‘ইএসআইয়ের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে করোনায় মৃতদের তথ্য জানার চেষ্টা করছি আমরা। ২০২০ সালের ২৪ মার্চ প্রকল্পটি চালুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৬৯ জন করোনায় মৃত সদস্যের নাম জোগাড় করতে পেরেছি। কিন্তু তাঁদের মধ্যে মাত্র দু’টি পরিবার পেনশনের দাবি পেশ করেছেন।’
ইএসআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আওতাভুক্ত কোনও কর্মী করোনার কারণে যদি বাড়িতেও মৃত্যু হয়, সেক্ষেত্রেও তাঁর পরিবার পেনশন পাওয়ার উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। সাধারণত পারিবারিক পেনশনের সুবিধা তখন পাওয়া যায়, যখন কোনও কর্মীর কর্মস্থলে মৃত্যু হয়।কিন্তু এই করোনা আবহে করোনা পেনশনের সুবিধা পাওয়া যাবে হাসপাতালে অথবা বাড়িতেও যদি করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রেও।
ইএসআই জানিয়েছে, করোনায় মৃত ইএসআই অন্তর্ভুক্তরা যে ইএসআই দফতরের আওতায় ছিলেন, সেখানে গিয়ে তাঁর পরিবারকে আবেদন জমা দিতে হবে। যদি সেটা কোনও কারণে সম্ভব নাও হয়, সেক্ষেত্রে ই মেলেও এই সংক্রান্ত আবেদন করা যেতে পারে।ইমেলে তিন জায়গা থেকে এই আবেদন করা যাবে কলকাতা, দুর্গাপুরের আঞ্চলিক দফতর ও ব্যারাকপুরের আঞ্চলিক দফতর। যথাক্রমে ইমেল আইডিগুলো হল, কলকাতা rd-westbengal@esic.nic.in ও benefit2-wb@esic.nic.in, দুর্গাপুর আঞ্চলিক দফতর dir-durgapur@esic.nic.in ও ব্যারাকপুর আঞ্চলিক দফতর, dir-bpore@esic.nic.in।