কেশপুরে তৃণমূলের নাম করে ভুয়ো লিফলেট ছড়ানোর অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করল পুলিশ। ওই লিফলেটে কেশপুরের মহিষদা এলাকার ১৮ জন বিজেপি কর্মীকে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। গতকালই লিফলেটটি ভুয়ো বলে দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেন স্থানীয় সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি লিফলেট। মহিষদা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নামে ছাপা ওই লিফলেটে লেখা হয়, ১৭৬ ও ১৭৯ নম্বর বুথ এলাকায় নিম্নলিখিত ব্যাক্তিদের কাছে পার্টির অনুমতি ছাড়া কোনও সামগ্রী বিক্রি করা যাবে না। এমনকী চা-ও।
এর পরই তালিকায় ১৮ জনের নাম লেখা হয়। নীচে লেখা হয়, যে দোকানদার পার্টির অনুমতি ছাড়া এদের কাছে সামগ্রী বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তবে লিফলেটে কোনও সিল বা কারও স্বাক্ষর ছিল না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা সবাই বিজেপি কর্মী।
শুক্রবার লিফলেটের অংশবিশেষ পোস্ট করে সাংসদ দেব দাবি করেন, ‘নোটিশটি দেখার পর আমি ব্যক্তিগতভাবে কেশপুরে আমাদের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাঁরা আমাকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, এমন কোনও নোটিশ তাঁরা প্রকাশ করেননি। যে দলেরই সদস্য হোন না কেন, মানুষ হিসাবে এভাবে ঘৃণা ছড়ানোকে কোনও দিন সমর্থন করবো না। আমি শপথ নেওয়ার সময় বলেছি, শুধুমাত্র আমার ভোটারদের নয়, আমি সমস্ত মানুষের পাশে থাকবো। দয়া করে পার্টির নামে কুৎসা করবেন না।’
এর পরই শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভুয়ো নোটিশ ছড়ানোয় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।