বকেয়া ফি মেটাতে না পারলেও কোনও পড়ুয়ার নাম স্কুল থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশ প্রযোয্য হবে। অর্থাত্, বকেয়া ফি মেটানোর জন্য সময় দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। ৩১ জুলাই পর্যন্ত তাই কোনও স্কুল ফি না পাওয়ায় পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বের করতে পারবে না। বেসরকারি স্কুল ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে বলে নির্দেশে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
অতিমারী পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক গতিতে পড়াশোনা চলছে না, তাও বর্ধিত ফি নেওয়া হচ্ছে। এর বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী ধীলন সেনগুপ্ত। গত ৪ জুন বিষয়টি বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে উঠলে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এই সংক্রান্ত একটি মামলা গত বছরে দীর্ঘদিন ধরে শুনানি হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। অতিমারী পরিস্থিতিতে ফি সংক্রান্ত ব্যাপারে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গতবছর মামলায় যে ১৪৫টি স্কুল যুক্ত ছিল, তাদের সবাইকে নতুন মামলার ব্যাপারে যাতে ওয়াকিবহাল করা হয় সে ব্যাপারে মামলাকারীকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৩ অক্টোবর বেসরকারি স্কুলগুলোকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত কুড়ি শতাংশ ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশে বলা হয়, করোনা অতমারী পরিস্থিতিতে কোনও রকম ল্যাবরেটরি, ক্রীড়া সংক্রান্ত, পিকনিক সংক্রান্ত ফি নেওয়া যাবে না। স্কুলগুলো মোট পাঁচ শতাংশের বেশি লাভ রাখতে পারবে না অতিমারী পরিস্থিতিতে।
অন্যদিকে মামলাকারীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও চলতি বছরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা পুরোপুরি অনলাইনে চলছে। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুল বর্ধিত হারে ফি চাইছে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী ২ জুলাই ফের শুনানি রয়েছে মামলাটির।