আসন্ন চার বিধানসভার উপ নির্বাচনে কি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বজায় রেখে লড়াই করবে সিপিএম? চব্বিশের লোকসভা ভোটে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও বামেরা একটিও আসন জিততে পারেনি, যদিও কংগ্রেস কোনও রকমে মালদহ দক্ষিণ আসনটি জিতে নিজেদের মুখ রক্ষা করেছে। একুশের পর চব্বিশেও বাম-কংগ্রেস জোট জোড়াফুলের ঝড়ে চরম ব্যর্থ হয়েছে। লোকসভা ভোটে এমন ফলাফলের পরও সিপিএম কংগ্রেসের হাত ছাড়তে নারাজ।
আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই কেন্দ্রগুলি হল মানিকতলা, রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ এবং বাগদা। এখনও পর্যন্ত যা খবর, উপনির্বাচনেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই লড়াই করবে সিপিএম। লোকসভা ভোটের ফলাফল যাই হোক, এখনই জোট ভাঙতে চায় না বাম-কংগ্রেস। আগামী ১৪ জুন বামফ্রন্টের বৈঠকে উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়ার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মানিকতলা ও বাগদা উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে বামেরা এবং রায়গঞ্জে লড়বে কংগ্রেস। রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে কংগ্রেস চাইলে রানাঘাট দক্ষিণ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন। ২৪-এ আসন কম কেন বিজেপির? সংগঠনের ওপর দায় চাপিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
লোকসভা ভোটে মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের ঈশা খান চৌধুরী। তবে তাঁর জয়ে জোটের কতটা আবদান আছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ ওই এলাকায় এখনও প্রায়ত কংগ্রেস নেতা গনি খান চৌধুরীর প্রভাব রয়েছে। লোকসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী বারই তারই পরিবারের। তই মালদা দক্ষিনের জয়কে কতটা জোটের জয় বলা যাবে না তানি সন্দেহ থাকছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আসন না পেলেও ভোট শতাংশ সামান্য বেড়েছে বামেদের। যদিও সিপিএমের মহম্মদ সেলিম ও সুজন চক্রবর্তী ছাড়া বাকি সকলেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাই এখনই একা লড়াইয়ে ভরসা করতে পারছে না সিপিএম। উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও তরুণ মুখকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন। লোকসভায় ঘাটাল সহ ৪ আসনের ফল নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি, CBI তদন্ত চেয়ে আদালতে যাবে BJP
অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোটে আইএসএফ শামিল হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। লোকসভা ভোটেও আইএসএফের সঙ্গে জোট ভেস্তে গিয়েছিল। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি আগেই জানিয়েছিলেন, ‘আত্মসম্মান বিকিয়ে’ কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে জোট নয়। ফলে নওশাদের দল উপনির্বাচনেও একাই লড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আলিমুদ্দিনের সিদ্ধান্ত কী হবে এবং উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনা চলছে। এই অকালেও কি সাগরদিঘির সাফল্যেকে ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখছে বামেরা?