দুর্গাপুজোয় ২–৩ লক্ষ দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে মাত্র ৩০ হাজার পুলিশের ব্যবস্থা নিয়ে সোমবারই প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন করোনা আবহে পুজো বন্ধের দাবিতে এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারক। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন এক অনুষ্ঠানে নগরপাল অনুজ শর্মা স্পষ্ট জানালেন, পুলিশ চেষ্টা করছে। কিন্তু ভিড় নিয়ন্ত্রণ, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্রমণ আটকানোর দায়িত্ব শুধু পুলিশের নয়। এ দায়িত্ব সকলের।
সোমবার পুজোর ট্রাফিক গাইড ম্যাপ প্রকাশ করে কলকাতা পুলিশ। তার উদ্বোধন করেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মা। সেই অনুষ্ঠানেই পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আমরা ‘মাস্ক আপ কলকাতা’ বলে একটি কর্মসূচি শুরু করেছি। মাস্ক পরার বার্তা, লোকজনের হাতে মাস্ক দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারেও সকলকে সচেতন করা হচ্ছে। মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে, সচেতন করতে বিভিন্ন বাজার এলাকায় মাইকিং করা চলছে। বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে যাঁদের কাছে মাস্ক থাকবে না তাঁদের মাস্ক বিলি করবে পুলিশ। মুখ ঢেকে রাখার পরামর্শও দেওয়া হবে।’
এর পরই নগরপাল বলেন, ‘তবে সংক্রমণ রোখা শুধু পুলিশেরই দায়িত্ব নয়। এটা একদিকে যেমন পুজোকর্তাদের দায়িত্ব, তেমন সাধারণ মানুষ আর সংবাদমাধ্যমকেও সচেতনতা বৃদ্ধির এই দায়িত্ব নিতে হবে। সকলকে আরও সচেতন হতে হবে।’