বুধবার সন্ধ্যায় মিলেছিল স্বস্তির খবর। তবে সেই স্বস্তি স্থায়ী হল না বেশিক্ষণ। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসকরা জানালেন অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। বুধবার রাতেও যেখানে মিনিটে ৩ লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছিল তাঁর, বৃহস্পতিবার সকালে তা বেড়ে ৪ লিটার করতে হয়েছে। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার বিকেলে ৩ লিটার অক্সিজেন ব্যবহার করে বুদ্ধবাবুর রক্তে সম্পৃক্ততার মাত্রা ছিল ৯৩ শতাংশ। বৃহস্পতিবার সকালে অক্সিজেনের মাত্রা ৪ লিটার করলেও তাঁর রক্তে সম্পৃক্ততার মাত্রা ৯২ শতাংশ। সঙ্গে কমেছে হৃদগতিও। প্রতি মিনিটে ৬২ থেকে কমে হয়েছে ৫৪।
গত ১৭ মে করোনায় আক্রান্ত হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী। সেদিনই মীরা দেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে বুদ্ধবাবু হাসপাতালে ভর্তি হননি। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁকে রেমডিসিভির ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।
বুদ্ধবাবুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে তাঁর গুণমুগ্ধদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়ায়। দীর্ঘদিন ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত তিনি। বাইপ্যাপ সাপোর্টে থাকতে হয় তাঁকে। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণের ধাক্কা তিনি কী ভাবে কাটাবেন তা নিয়ে আশঙ্কিত হয়ে পড়েন অনুগামীরা। মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সেই উদ্বেগ কিছুটা বাড়ে। কিন্তু তার পর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার লাগাতার উন্নতি হচ্ছিল।