পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার পঞ্চম আসনের আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হল আইনজীবী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নাম। বাম – কংগ্রেসের যৌথ প্রার্থী হিসাবে ময়দানে নামছেন এই সিপিআইএম নেতা। মঙ্গলবার দিল্লিতে তাঁর নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
আগামী ১৩ মার্চ রাজ্যসভা নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। ২০১৭-য় এই মনোনয়ন পেশের ত্রুটিতে বিকাশবাবুর প্রার্থীপদ খারিজ হয়েছিল। এবার যদিও হাতে সময় রেখে ময়দানে নাম বাম-কং শিবির। গতকাল বামেদের সমর্থন ঘোষণা করেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৌখিক ভাবে ঘোষণা করা হয় বিকাশবাবুর নাম। মঙ্গলবার তা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল।
কংগ্রেসের সমর্থন থাকায় রাজ্যসভার ওই আসনটিকে বিকাশবাবুর জয় নিশ্চিত। তাই তৃণমূলের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই আসনে প্রার্থী দেবে না তাঁরা। ফলে ২৬ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের খালি হওয়া ৫টি আসনের কোনওটিতেই ভোটাভুটির সম্ভাবনা রইল না।
দক্ষ আইনজীবী ও সুবক্তা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের রাজ্যসভায় উপস্থিতি বিতর্কের মান বাড়াবে বলে অনুমান দলের ভিতরে ও বাইরে অগনিত ভক্তের। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করে মিমি চক্রবর্তীর কাছে হেরেছিলেন তিনি। তবে একমাত্র বাম প্রার্থী হিসাবে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন।
বিকাশবাবুর রাজ্যসভার সদস্য হওয়া তৃণমূলের পক্ষে নিঃসন্দেহে অস্বস্তির। কারণ, সারদাকাণ্ডের সিবিআই তদন্ত সংক্রান্ত মামলার প্রধান আইনজীবী ছিলেন তিনি। তাঁর সওয়ালের চিটফান্ড কেলেঙ্কারির প্রধান সুবিধাভোগীদের খোঁজার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ফলে অন্য যে কারও থেকে এই বিষয়ে বিকাশবাবুর অনুপুঙ্খ জ্ঞান সংসদে নানা বিতর্কে তৃণমূলকে বিব্রত করবে বলে অনুমান।
বিকাশবাবু রাজ্যসভার সদস্য হলে তিনিই হবেন পশ্চিবঙ্গ থেকে বামেদের একমাত্র সাংসদ।
তাঁর নাম ঘোষণার পর বিকাশবাবু জানিয়েছেন, ‘রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে সেরাটা চেষ্টা করব।’