দীঘায় ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য সুখবর। এবার থেকে দীঘায় যাওয়া তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসে পাওয়া যাবে রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো সুবিধা। রাজধানীতে যে বগি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন বগি ব্যবহার করা হবে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসে। যাত্রী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ধরনের বগি বেশি কার্যকর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি ময়নাগুড়িতে রেল দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর কয়েকদিনের মধ্যে বাংলায় চলা জনপ্রিয় এই এক্সপ্রেস ট্রেনে অত্যাধুনিক কোচ ব্যবহার করা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রেল সূত্রে খবর, আজ, মঙ্গলবার থেকেই আপ–ডাউন হাওড়া থেকে দীঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসে যুক্ত হবে লিঙ্কে–হফম্যান বুশ বগি (এলএইচবি বগি)। বাংলার চার জোড়া ট্রেনে এই ধরনের বগি থাকবে। তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস ছাড়াও হাওড়া–পুরুলিয়া এক্সপ্রেসেও এই অত্যাধুনিক বগি থাকছে। গত ২৪ জানুয়ারি থেকে এই এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে এই ধরনের বগি ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়াও বাংলার যে দুটি ট্রেনে এই বগি ব্যবহার হচ্ছে, সেগুলি হল হাওড়া–রাঁচি এক্সপ্রেস ও হাওড়া–রাঁচি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। রেল সূত্রে খবর, এই ধরনের হগি প্রথমে তেজস এক্সপ্রেসে চালানো হত। পরে রাজধানী এক্সপ্রেসে একটি করে তেজসের বগি ব্যবহার করা হয়। রেল ঠিক করেছে, পুরনো বগি সরিয়ে সব দুরপাল্লার ট্রেনেই অত্যাধুনিক বগি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, দুরপাল্লার ট্রেনে সাধারণত দুই ধরনের বগি ব্যবহার করা হয়। একটি হল ইনটেগ্রাল কোচ ফ্যাক্টারি বগি বা আইসিএফ বগি ও অপরটি হল এলএইচবি বগি। জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি এই এলএইচবি বগিটি সুরক্ষিত ও আরামদায়ক। আইসিএফ বগি সাধারণত নীল রঙের হয় ও এলএইচবি বগি লাল রঙের হয়ে থাকে। আগামীদিনে এই উন্নতমানের কোচ আরও বেশি করে ট্রেনে ব্যবহার হওয়া শুরু হবে। ফলে যাত্রী নিরাপত্তাও আরও সুরক্ষিত হবে। ময়নাগুড়ি রেল দুর্ঘটনায় রেলের ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও। রেল দুর্ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় রেলের এই উদ্যোগ যে যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না।