পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খোলার এক মাসের মধ্যেই ফাইনাল পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে। শনিবার রাজ্যের উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের কারণে ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার ঘোষণা বাংলার সরকারের তরফে করা হয় আগেই। এর ফলে বহু পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। UGC-র নির্দেশ মেনে সরকারের তরফে বলা হয়, ফাইনাল সেমেস্টার ছাড়া অন্যান্য বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের বিনা পরীক্ষাতেই নতুন পর্যায়ে উত্তীর্ণ করা হবে।
এ দিন রাজ্যের উপাচার্যদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন শিক্ষামন্ত্রী। তারপরই জানানো হয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খোলার এক মাসের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ফাইনাল পরীক্ষা চূড়ান্ত করা হবে।
ফাইনাল সেমেস্টারগুলি কত নম্বরের হবে এবং অনলাইন ব্যবস্থায় নেওয়া হবে কি না. সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ছেড়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। অন্য যে সেমেস্টারগুলি স্থগিত রয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে কী করা হবে তা-ও ঠিক করবে বিশ্ব বিদ্যালয়গুলি।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে রাজ্যে বর্তমানে ১৯ লাখ ছাত্রছাত্রী রয়েছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি খুললে যাতে সামাজিক দূরত্ব বিধি ঠিকঠাক মানা হয়, সে ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে এ দিনের বৈঠকে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খুললে নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে উপাচার্যদের।
পরীক্ষার্থীদের অন্য সেন্টারে না পাঠিয়ে যাতে হোম সেন্টারেই পরীক্ষা নেওয়া যায়, সেই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ দিন বৈঠকের পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছি। পরীক্ষা কবে হবে, কী প্রক্রিয়ায় নেওয়া হবে তার কর্মসূচি ঠিক হয়েছে। শিক্ষা প্রাঙ্গন ও হস্টেলগুলি জীবানুমুক্ত করা হবে।’
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুললে শিক্ষাবর্ষের কর্মসূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।