উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকায় সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনকে। এবার উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম ১০জনের মধ্যে ছিলেন ২৭২জন। আর সেই ২৭২জনের মধ্যে মাত্র তিনজন ছিলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের। এনিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তার জবাবও দিয়েছিলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ মহারাজ। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমাদের ছাত্ররা সততার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছিল।
এবার রাজ্য জয়েন্টের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে অন্তত ২৬জন পড়ুয়া রাজ্য জয়েন্টে অত্যন্ত ভালো ফল করেছে। ৩ হাজার Rankএর মধ্যেই তারা রয়েছেন। কেউ ২২তম স্থানে রয়েছেন, কেউ আবার ৯২ তম স্থানে রয়েছেন। রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের এই ফলাফল ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। তবে এই তালিকার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
তবে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল বের হওয়ার পরেই দেখা গিয়েছিল জেলায় জেলায় একেবারে জয়জয়কার। এক একটি স্কুলে একেবারে মেধাতালিকায় ঠাঁই পাওয়া কৃতীদের মিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকের সেই মেধাতালিকায় সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন। প্রশ্ন উঠেছিল তবে কি হোম সেন্টারে পরীক্ষা হওয়ার কারনেই উচ্চমাধ্যমিকে এভাবে একই স্কুল থেকে দলে দলে ঠাঁই পেয়ে গিয়েছিল কৃতীদের তালিকায়?
রাজ্য জয়েন্টের ফলাফল ঘোষণা হতেই দেখা যাচ্ছে একাধিক জেলায় যেখানে উচ্চমাধ্যমিকে একেবারে নজরকাড়া রেজাল্ট হয়েছিল তাদেরকেই আর জয়েন্টের রেজাল্টে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনটাই দাবি অনেকের। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলও শুরু হয়েছে পুরোদমে। অনেকেরই দাবি, জয়েন্টে হোম সেন্টারের ব্যাপার নেই। আর সেই পরীক্ষায় সাফল্য পেয়ে দেখিয়ে দিল নরেন্দ্রপুর। অন্যরা ধারে কাছেও থাকতে পারল না।