এবার পার্ক হোটেলের ম্যানেজারকে তলব করল আবগারি বিভাগ। হোটেলের তরফে ঘটনার দিন মদ সরবরাহ করা হয়েছিল কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে হোটেলের তরফে জানানো হয়েছে, হোটেল থেকে কোনও মদ সরবরাহ করা হয়নি। হোটেল কর্তৃপক্ষের কথা ঠিক কিনা, তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, কোন সময় থেকে কোন সময় পর্যন্ত মদ সরবরাহ করা হয়, তা খতিয়ে দেখতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখতে চাইছে আবগারি বিভাগ। হোটেল কর্তৃপক্ষর দাবি, মদ এসেছিল বাইরে থেকে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি যে সঠিক, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না আবগারি দফতর। একইসঙ্গে পার্টিতে মদ ছাড়াও অন্য কোনও মাদক সরবরাহ করা হয়েছিল কিনা তা জানতে চায় আবগারি দফতর।
করোনা-বিধি উড়িয়ে গত শনিবার মধ্যরাতে পার্ক স্ট্রিটের পাঁচতারা হোটেলে নাইট পার্টি হয়। বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় মার্সিডিজ-সহ ২টি বিলাসবহুল গাড়ি। বিদেশি মদের বোতল ও গাঁজা। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বুধবার ১০ জনকে ডেকে পাঠানো হয় লালবাজারে। ওই ১০ জনের মধ্যে ছিলেন হোটেলের ফ্লোর ম্যানেজার, লবি ম্যানেজার, হোটেলের সঙ্গে যুক্ত ডিজে এবং বার ও বেভারেজের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার। যে এজেন্সির মাধ্যমে ঘটনার দিন পার্ক হোটেলে ঘর বুক করা হয়েছিল, তাদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে।
আবগারি দফতর পার্ক হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হোটেলের ৯টি বার বন্ধ রাখতে হবে। সেখানে মদ সরবরাহ করা যাবে না। যেভাবে করোনা পরিস্থিতি ও কড়া বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করে পার্ক হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে, তা দেখে ক্ষুব্ধ লালবাজারের কর্তারা।