বৃহস্পতিবার একেবারে মুখোমুখি জেরা পার্থ-অর্পিতাকে। একজন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অপরজন তারই বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তারই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।কিন্তু কীভাবে এল এত বিপুল টাকা? সেটাই জেরায় জানতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা। পরস্পরের বয়ানও মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে পার্থ আগেই জানিয়েছিলেন টাকা তাঁর নয়। সময় এলে সব জানাবেন বলেও জানিয়েছিলেন। অন্য়দিকে অর্পিতা দাবি করেছিলেন, পার্থর লোকজন ফ্ল্যাটে টাকা রেখে যেত। যেখানে তাঁর প্রবেশের অনুমতি ছিল না। এদিকে আদালতের নির্দেশে ৫ অগস্ট পর্যন্ত জেরার সময় পাবেন ইডির আধিকারিকরা। মূলত সেকারণে দ্রুত টাকার উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
তবে সূত্রের খবর, এক দুবছর নয়, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে পার্থ-অর্পিতার মধ্যে যোগাযোগ।২০১২ সালে খোলা হয়েছিল অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস। সেখানে একেবারে সমান সমান অংশীদারিত্ব থাকার অভিযোগ। এসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে দক্ষিণ কলকাতায় পণ্ডিতিয়া রোডের ফ্ল্যাটেও অভিযান শুরু করেছেন ইডির আধিকারিকরা। তালা ভাঙারও ব্যবস্থা করেন ইডির আধিকারিকরা। ইডি আগেই আদালতে জানিয়েছিল অন্তত ৯টি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে পাঁচটি ফ্ল্যাটের মালিক অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নিজেই।
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে সব মিলিয়ে ১২০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে। এদিকে ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাশাপাশি ৬টি সোনার বালাও পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। কিন্তু সেই চুরির একটির ওজনই ৫০০ গ্রাম করে। এখানেই প্রশ্ন কেন এত ভারী চুরি করা হয়েছিল?
ইডি সূত্রে খবর ৩১টি জীবন বিমাও রয়েছে। সবগুলিই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। সবগুলিতেই নমিনি রয়েছেন পার্থ। ২৮টি ফোনও পেয়েছিল ইডি। তার মধ্যে তিনটি ফোন ব্যবহারই করা হয়নি। সেই ফোনের তথ্যও মিলিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। তবে সূত্রের খবর, অর্পিতা এদিন সহযোগিতা করলেও একাধিক প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।