উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাঁকে চড় মারার হুমকি দিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূলের এক ছাত্রনেতা। আক্রান্ত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলির আভিযোগ, পুলিশকে ফোন করেও সাহায্য পাননি তিনি। অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ঘটনা শনিবার দুপুরের। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে থাকে একদল দুষ্কৃতী। উপাচার্যকে শাসাতে থাকে তারা। তাদের মধ্যে ছিল গিয়াসউদ্দিনও। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে উপাচার্য মহম্মদ আলির কার্যকাল সম্প্রসারিত হয়েছে। সেই খবর পেয়েই তাঁকে শাসাতে আসে ওই দুষ্কৃতীরা। তাণ্ডবের যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তাতে গিয়াসউদ্দিন উপাচার্যকে বলছেন, টেনে চড় মারব। এর পর উপাচার্য পুলিশে ফোন করেও সাড়া পাননি বলে অভিয়োগ।
উপাচার্য মহম্মদ আলি জানিয়েছেন, ‘পুলিশ আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি। তাণ্ডবকারীদের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিনের দায় অস্বীকার করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘ও আমাদের ইউনিট প্রেসিডেন্ট ছিল। তবে এখন আমাদের সঙ্গে নেই। এদিন বহিরাগতরা হামলা চালিয়েছে। তার সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও যোগ নেই।’