প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিঙ্গল বেঞ্চের বরখাস্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন এক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষিকা। তাঁর দাবি, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ছাড়াই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে আদালত। জয়িতা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই বরখাস্ত হওয়া শিক্ষিকার দাবি, নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই তাঁর নম্বর বাড়িয়েছিল পর্ষদ।
গত ১৩ জুন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদের মধ্যে রয়েছেন জয়িতাদেবীও। ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন তিনি।
মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০১৭-র টেটের ফলপ্রকাশের পর RTI-এর মাধ্যমে নিজের নম্বর জানতে চান জয়িতাদেবী। জবাবে খাতাসহ নম্বর তাঁকে জানায় পর্যদ। খাতা পরীক্ষা করে দেখা যায় পর্যদ তাঁকে ১ নম্বর কম দিয়েছে। এর পর পর্ষদের কাছে ১ নম্বর দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। কিন্তু পর্ষদের তরফে কোনও জবাব না পাওয়া গেলে আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালতের চিঠি দেখে তৎপর হয় পর্যদ। অতিরিক্ত ১ নম্বর পান তিনি। এর পর ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর হাতে আসে নিয়োগপত্র।
মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, যাবতীয় নথিপত্র পর্ষদের আইনজীবীর হাতে থাকলেও গত ১৩ জুনের শুনানিতে তিনি তার উল্লেখ করেননি। ফলে ২৬৯ জনের মধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন জয়িতাও। আত্মপক্ষ সমর্থনের দাবি জানিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম আদালতের দ্বারস্থ হলেন চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া কোনও ব্যক্তি।