নারদা কাণ্ডে নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। প্রথমে জেল হেফাজতে পাঠানো হলেও আপাতত অভিযুক্ত চার হেভিওয়েট নেতাকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেয়ে মামলা প্রত্যাহার করেছে সিবিআই। ফলে, মামলা ফিরেছে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চেই। তবে ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে মামলা পিছিয়ে গিয়েছে।
অন্য দিকে, রাজ্য রাজনীতিতে ফিরে এসেছে সেই পুরনো কানন-বৈশাখী-রত্না সমীকরণ। এতকিছুর মধ্যেও নেটিজেনরা শোভন-বৈশাখীর প্রেম নিয়েও মজেছে। শোভন গ্রেফতার হতেই নিজাম প্যালেসে ছুটে গিয়েছিলেন স্ত্রী রত্না।তাতেই প্রশ্ন উঠেছিল কোথায় গেলেন বৈশাখী? সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিকতায় ভরা নানা ধরনের মিমও ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু রাত হতেই আসরে নামেন বৈশাখী। প্রেসিডেন্সি জেলের দরজার সামনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়া থেকে শুরু করে এসএসকেএমের উডবার্ণ ওয়ার্ড পর্যন্ত শোভনের পাশেই সবসময় দেখা গিয়েছে বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে।
এদিকে লাইম লাইট থেকে বহু দূরে থেকে গিয়েছিলেন চতুর্থ চরিত্র। তাঁকে নিয়ে বিশেষ কেউ মাথাও ঘামায়নি এতদিন। এবার সেই চরিত্রই মৌনব্রত ভেঙে মুখ খুললেন। তিনি আর কেউ নন, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল। এবার আচমকাই প্রকাশ্যে বৈশাখী ও রত্নাকে নিয়ে একযোগে মুখ খুললেন তিনি। তবে শুধু মুখই খুললেন না, সরাসরি কিছু না-বললেও প্রকারান্তে স্বীকারও করে নিলেন যে, তাঁর স্ত্রী পরকীয়া করছেন।
রত্নার প্রসঙ্গে মনোজিতবাবু বলেন, ‘রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সে ভাবে চিনি না। তবে দু’একবার তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি এখন স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। স্বাভাবিক ভাবেই উনি ভেঙে পড়েছেন। রত্নাদেবীর চিকিত্সা দরকার। উনি অসুস্থ।’
এরপরেই স্ত্রীর পরকীয়া মেনে নিয়ে মনোজিতবাবু বলেন, ‘ কেউ এভাবে ২২ বছরের সম্পর্ক কি করে ভেঙে দেয়?’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার আসল কারণ আমরা সবাই জানি। কোর্টও জানে। তাই বৈশাখী কখনই শোভন ও রত্নাদেবীর বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে না। পরকীয়া তো এখন বৈধ হয়ে গিয়েছে। এতে কোনও অসুবিধা নেই। যে কেউ পরকিয়া করতেই পারেন।’
পরকীয়া প্রসঙ্গ টেনে তাঁর এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। স্ত্রীর পক্ষে হয়ে তাঁর সওয়াল ঘিরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, তবে কি তিনি মেনে নিচ্ছেন তাঁর স্ত্রী পরকীয়া করছেন। সরাসরি কিছু-না বললেও তাঁর মন্তব্য সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।