উৎসবে ফিরতে বলেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। গোটা দেশ জুড়ে যখন প্রতিবাদের ঝড় তখন উৎসবের ফেরার কথা জানিয়েছেন মমতা। তবে তা নিয়ে সমালোচনা গোটা বাংলা জুড়ে। অনেকেই মানতে পারছেন না এভাবে উৎসবে ফেরার কথা ঘোষণা করার বিষয়টি।
তবে সেই সমালোচকদের একহাত নিয়ে এবার পোস্ট করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তৃণমূল নেতা দেবাংশু। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন,
ইচ্ছুক জনগণকে উৎসবে শামিল হতে বলা অপরাধের? এটা নিয়েও বিতর্ক?
বাড়িতে মাছ মাংস খাচ্ছেন না তো?
সিনেমার প্রমোশন করছেন না তো?
রেস্টুরেন্টে যাচ্ছেন না তো?
পুজোর শপিং করছেন না তো?
একটা পার্টি এই বিষয়টা নিয়ে একটা ন্যারেটিভ ছড়াল, আর কিছু মানুষ সেটাকে নিয়ে পোস্ট করতে শুরু করেছেন! যে পার্টি এটা ছড়াল, তারা দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলোর বাইরে লাল ন্যাকড়া মোড়া স্টল লাগাবে না তো?
তিলোত্তমার চলে যাওয়ার শোক প্রত্যেকটা মানুষের আছে। তা বলে বাঙালি সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবকে বলি যাওয়া যায় না। কারণ এই উৎসবের সঙ্গে শুধু আনন্দ-ফুর্তি জড়িত নয়, লাখ লাখ মানুষের রুটি-রুজি জড়িত। আপনাদের মত কিছু এলিট সোসাইটির লোকেদের কাছে সেইসব প্রান্তিক মানুষদের রুটি রুজির গুরুত্ব না থাকতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আছে।
প্রতিটা শব্দে ভুল ধরতে যারা শুরু করেছেন, তারা এবার রাজনৈতিক নোংরামি করছেন। এনাফ.. লিখেছেন দেবাংশু।
তবে দেবাংশুর এই পোস্টে দুটি-তিনটি বিষয়কে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। লাল ন্যাকড়া দেওয়া স্টল বলতে তিনি যে বামপন্থীদের ইঙ্গিত দিতে চাইছেন সেটা ভালোই বোঝা যাচ্ছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, তিলোত্তমার চলে যাওয়ার শোক প্রত্যেকটা মানুষের আছে। তা বলে বাঙালি সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবকে বলি যাওয়া যায় না।
কিন্তু এখানেই প্রশ্ন গোটা দেশ যেখানে প্রতিবাদে মুখর সেখানে সব ভুলে গিয়ে পুজোয় মেতে যাওয়া কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের। এক নেট নাগরিক লিখেছেন, এক মাস হয়ে গেছে, অতএব আসুন সবাই মিলে ভুলে যাই মেয়েটিকে কি ভয়ঙ্কর মৃত্যু দেওয়া হয়েছিল, এক মাস হয়ে গেছে তাই সবাই উৎসবে মেতে উঠে ধেই ধেই করে নাচতে শুরু করি…অপর এক নেট নাগরিক লিখেছেন, উৎসবে ফিরব কি না সেই পরামর্শ রাষ্ট্র দিতে পারে না। উৎসবে সরকারি অনুদান দেওয়া মানেই সেই উৎসবে কে ফিরবে নাকি ফিরবে না তার ঠিকা নেওয়া নয়। এনিয়ে দেবাংশু লিখেছেন, রাষ্ট্র পরামর্শ দিতেই পারে তার প্রান্তিক মানুষদের কথা চিন্তাভাবনা করে। পরামর্শটা যাদের গ্রহণ করার তারা করবেন যাদের গ্রহণ করার নয় তারা করবেন না। কোথাও কাউকে জোর করা হয়নি।