টেকনিকাল সাপোর্ট দেওয়ার নামে কল সেন্টার খুলে চলছিল প্রতারণা-চক্র। সেই অভিযোগে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের ম্যাট্রিক্স বিল্ডিং থেকে ন'জনকে গ্রেফতার করা হল। উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক মোবাইল, ল্যাপটপ, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট এবং নগদ টাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেশ এবং বিদেশের অনেকের নম্বর সংগ্রহ করত অভিযুক্তরা। সেইসব নম্বরে ফোন করে টেকনিকাল সাপোর্টের অজুহাতে ফাঁদ পাতত। সেজন্য ম্যাট্রিক্স বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় ও সপ্তম তলে অফিস রীতিমতো কল সেন্টার খোলা হয়েছিল। হাতিয়ে নেওয়া হত বিভিন্ন তথ্য। তারপরই ওই ব্যক্তিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লাখ-লাখ টাকা গায়েব করে দিত অভিযুক্তরা। তা নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। শুরু হয় তদন্ত। তারইমধ্যে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের ওই কল সেন্টারের হদিশ পায় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা। সোমবার গভীর রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
তল্লাশিতে ওই ভুয়ো কল সেন্টার থেকে একাধিক মোবাইল, ল্যাপটপ, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত করা হয়। উদ্ধার করা হয় নগদ টাকা। ভুয়ো কল সেন্টার থেকেই ন'জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে ওই আর্থিক প্রতারণার জাল কতদূর বিস্তৃত ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কতজনের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে, জালিয়াতি করে কত টাকা গায়েব করা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সম্প্রতি কলকাতায় একের পর প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলেছে। দিনকয়েক আগেই বিমা করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে নিউ টাউনে কল সেন্টার থেকে ছ'জনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, বিমা করিয়ে দেওয়ার নামে দেশে ও বিদেশে ফোন করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করত তারা। তারপর বন্ধ করে দিত যোগাযোগ। গত বুধবার বিকেলে পুলিশ আধিকারিকরা কল সেন্টারে পৌঁছে নথি দেখতে চান। কিন্তু কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেনি ধৃতরা। তারপর ছ'জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তিনটি ডেবিট কার্ড, সাতটি মোবাইল ফোন ও ১৪টি ল্যাপটপ।