একেবারে হুবহু চিকিৎসকের বেশভূষা। সাদা অ্যাপ্রন। গলায় স্টেথোস্কোপ। গম্ভীর মুখে কলকাতা মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াতেন ওই যুবক। এমনকী রোগীর পরিজনদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথাবার্তাও বলতে দেখা যেত তাঁকে। এনিয়ে সন্দেহ ক্রমে জোরালো হতে শুরু করে জুনিয়র ডাক্তারদের।
অভিযোগ, ওই যুবক ওই পোশাক পরে রোগীর পরিজনদের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন। এরপর তাদের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্যাথলজিতে তিনি রোগীর নমুনা পাঠাতেন। এরপর কম টাকায় ওষুধ এনে দেওয়ার আশ্বাসও তিনি দিতেন।
তবে শেষ পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের তৎপরতায় পুলিশ আটক করেছে ওই অভিযুক্ত ভুয়ো চিকিৎসককে। তার নাম সানোয়ার হোসেন। বাড়ি হাওড়ায়। বয়স ২৫ বছর। সূত্রের খবর, আদপে তিনি বেকার। চাকরি জোটাতে পারেননি। সেকারণে সাদা অ্যাপ্রন পরে ডাক্তার সেজে হাসপাতালে আসতেন তিনি। কার্যত এটাই তার পেশা।
কার্যত হাসপাতাল জুড়ে তিনি প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন বলে অভিযোগ। নানাভাবে রোগীর পরিজনদের ভুল বুঝিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। তবে সেটা একটু ঘুরপথে। একাধিক প্যাথলজি সেন্টারের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। সেখানে রোগীর নমুনা পাঠিয়ে তিনি কমিশন নিতেন বলে অভিযোগ।
এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ ওই যুবকের সঙ্গে হাসপাতালের সম্পর্ক নেই। তিনি চিকিৎসকও নন। রোগীর পরিজনদের ভুল বুঝিয়ে টাকা আদায়ের জন্য তিনি এই বিশেষ ফন্দি এঁটেছিলেন।