ভুয়ো টিকা কাণ্ডে এবার বিজেপি যোগের অভিযোগ তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী কসবার জাল টিকা কাণ্ড বিজেপির সাজানো ঘটনাও হতে পারে বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে একাধিক মন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রাজ্য সরকারের বিড়ম্বনা। সেই ছবিকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। এবার সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভুয়ো শিবির নিয়ে বড় বড় কথা বলছে। ওটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। রাজ্য সরকার জড়িত নয়। যে পদক্ষেপ নিয়েছি আগে কেউ করেনি। বিজেপি সাজিয়ে বাংলাকে বদনাম করছে বিভিন্ন এজেন্সিকে দিয়ে।’
বুধবার নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তাঁর অভিযোগ, ‘আমরা খোঁজ নিয়েছি অ্যান্টি বায়োটিক ইঞ্জেকশন দিয়েছে। আশা করি খারাপ কিছু হবে না। যত জনকে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর যোগাযোগ রেখেছে। তাঁদের সকলের টিকাকরণ করে দেব। আমরা যেভাবে কাজ করি তেমন কেউ করে না। গুজরাটে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। এগুলি বিজেপি সাজিয়ে করেনি তার প্রমাণ কোথায়? এখন ফটোশপ থেকেও এসব করে নেয় অনেকে। আমি কাউকে বরদাস্ত করিনি। আগামী দিনেও করব না।’
আজ আদালতে রা্যের হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বিরোধী দলনেতা থেকে রাজ্যপাল সবাই রাজ্যে হিংসা বেড়ে চলেছে বলে তোপ দাগছেন। এই বিষযে মুখ্যমন্ত্রী আজ বলেন, ‘এখন কিছু কোর্ট বাবু হয়েছে। এটা কিছু রাজনৈতিক নেতা করে চলেছে। হিংসুটে। হিংসার ঘটনা প্রমাণ করতে ভুয়ো ছবি ভাইরাল করা হচ্ছে। কেউ কেউ সেই ছবি ইচ্ছে করে ভাইরাল করছে। এই জাল টিকা কাণ্ডের পিছনেও যে বিজেপির হাত নেই, কে বলতে পারে!’
মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রতারক দেবাঞ্জনের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আশেপাশে বহু মানুষ ঘুরে বেড়ায়। কে বা কারা আশপাশে আসছে সবাইকে চেনা সম্ভব নয়। ছবি দিয়ে বিচার করা যায় না। বাইরে বেরোলেই ছবি তোলে। ধরুন দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে গেলাম সবাইকে চিনি না। কেউ কোথায় দূর থেকে ছবি তুলে নেয়। একবার বিমানে দূর থেকে ছবি তুলছে। নানারকম কায়দা আছে। জুম করে আমার ছবি তুলেছে। ফটোশপ করা যায় ছবি। যাঁরা প্রতারণা করতে চায় তাঁরা ছবি তুলে রাখে।’
তবে এদিন ফিরহাদ হাকিমের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় বের হলে অনেকে ডাকেন। না শুনে চলে গেলে তো আবার বলবে মেয়র কথা শুনলেন না। কথা বলার সময় কেউ ছবি তুলে রেখেছে ফিরহাদের সঙ্গে। একাধিক রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’