কলকাতা মেট্রো রেলে উঠে তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছতে চেয়েছিলেন এক দম্পতি। তাঁদের গন্তব্য ছিল এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন। দরজা খুলতেই মুহূর্তের মধ্যেই নেমে পড়েন তাঁরা। আর পিছনে ফিরে দেখলেন দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে থাকা মেয়েটি তো নামেনি! মেয়ে কই? যখন এই সম্বিত ফিরল তখন স্টেশন ত্যাগ করেছে ট্রেন। আর মেট্রোর ভিতরের কামরায় তখন বাবা–মাকে খুঁজে না পেয়ে কাঁদতে শুরু করেছে ১০ বছরের মেয়েটি।
ঠিক কী ঘটেছে কলকাতা মেট্রোয়? গত ৭ অক্টোবর কলকাতা মেট্রোতে ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে সফর করছিলেন এক দম্পতি। কিন্তু তাড়াহুড়ো থাকায় এসপ্লানেড মেট্রো স্টেশনে জলদি নেমে পড়েন। এটাই ছিল তাঁদের গন্তব্য। আর ট্রেন থেকে নেমেই লক্ষ করেন, তাঁদের মেয়ে সঙ্গে নেই। মেট্রোর ভিতরে রয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা স্টেশনের সুপারের কাছে ছুটে গিয়ে যোগাযোগ করেন। তৎক্ষণাৎ সমস্ত মেট্রো স্টেশনে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। শোরগোল পড়ে যায় গোটা ঘটনায়। সব স্টেশনে উপস্থিত রেলের কর্মীরা মেয়েটিকে খুঁজতে শুরু করেন।
তারপর ঠিক কী ঘটল? মেট্রো সূত্রে খবর, অবশে্যে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে এক আরপিএফ কর্মী মেয়েটিকে খুঁজে পান। আর তিনি দায়িত্ব নিয়ে স্টেশন মাস্টারের দফতরে নিয়ে আসেন। মেয়েটিকে বোঝানো হয় ভয় পাওয়ার দরকার নেই। এখানেই আসছে তার বাবা–মা। এই ঘটনা যখন চলছে তখন উৎকন্ঠায় কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছেন মেয়েটির মা। টেনশনে দৌড়াদৌড়ি করছেন বাবা।
কী করল এই মেয়েটি? উপস্থিত বুদ্ধি খরচ করে মেয়েটিও নিজের পরিচয় দেয়। বাবা–মায়ের ফোন নন্বরও জানিয়ে দেয় স্টেশন মাস্টারকে। স্টেশন মাস্টার সেই নম্বরে যোগাযোগ করতেই ধড়ে প্রাণ ফিরে পান মেয়েটির বাবা–মা। তাঁদের তাড়াতাড়ি কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে আসতে বলেন স্টেশন মাস্টার। তখন তাঁরা সেখানে এসে হাজির হন। তারপর যাবতীয় নিয়মকানুন পালন করে রেলকর্মীদের সহায়তায় আবার মেয়েকে ফিরে পেয়ে মুখে হাসি ফোটে পরিবারের।