ঘরে ঘরে অরন্ধন পালনের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর সেই ডাকে সাড়া দিলেন আরজি করে সেই নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা-বাবা। সেই সঙ্গেই সরকারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তাঁরা।
টিভি ৯ বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন নির্যাতিতার বাবা- মা। চিকিৎসকরা যে আহ্বান করেছিলেন সেই ডাকে সাড়া দিয়ে অরন্ধন পালন করলেন নির্যাতিতার বাবা ও মা। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, যতক্ষণ পারব না খেয়েই থাকব।
নির্যাতিতার বাবা ওই সংবাদমাধ্যমে বলেন, ছাত্ররা অরন্ধনের ডাক দিয়েছে। আমরা তাদের পাশে থেকেই এটা করছি। নির্যাতিতার মা বলেন, ওঁরা তো এতদিন না খেয়ে রয়েছে। তাহলে আমি মা হয়ে কেন পারব না! সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, উনি( মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়) তো উৎসবে মেতেছেন। কী আর বলব। তারপর আগেই উৎসবে ফিরতে বলেছিলেন। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। ওঁকে বলব মানবিক হতে। আর ছেলেমেয়েগুলো তো নিজেদের বেতন বাড়াতে বলেনি। নাগরিকদের জন্যই চেয়েছে। বিষয়টা যত দ্রুত সম্ভব যাতে মিটিয়ে নেওয়া যায় দেখুক সরকার।
নির্যাতিতার মা বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য সিনিয়র ডাক্তাররা পেন ডাউন করেছেন। আরও আন্দোলন জোরদার করতে হবে। আমরা ওদের পাশে সব সময় আসি। তবে কারোও শরীর খারাপ করে নয়। কারও শরীর খারাপ হলে অন্যজন বসে যেও। এই বার্তাই দিয়েছি। জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা।
এবারও পুজো এসেছিল পুজোর মতোই। এবার দশমী। দেবী বিদায়ের পালা। সবার মনই ভারাক্রান্ত। তবে এবার গোটা পুজো জুড়েই এই ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ছিল বাংলা। রবিবার অরন্ধন পালনের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই অরন্ধন পালন করলেন বহু সাধারণ মানুষ। বহু সাধারণ মানুষ এদিন তাঁদের বাড়িতে অরন্ধন পালন করেন। কার্যত জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনের পাশে রান্না না করে আন্দোলনে শামিল হলেন। নির্যাতিতার বাবা মাও অরন্ধন পালন করলেন।
তাঁর বাবা এবিপি আনন্দে বলেন, আমরাও চেষ্টা করছি এই অরন্ধন পালন করতে।মা বলেন, ওরা তো এতদিন না খেয়ে রয়েছেন। আমরা একবেলা অরন্ধন পালন করছি। কেউ রান্না করেনি। ডাক্তাররা যখন ডাক দিয়েছিলেন আমরা পুরো পরিবার ঠিক করেছিলাম আমরাও অরন্ধন পালন করব।
একদিকে বিসর্জনের ঢাক বাজছে বাংলা জুড়ে। তার মধ্যেই ঘরে ঘরে অরন্ধন। একেবারে অন্য়রকম প্রতিবাদ গোটা বাংলা জুড়ে।