গত ২ বছরে রাজ্যে কোনও কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি। বিধানসভায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের করা এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি। এমনকী পূর্ব মেদিনীপুরে কৃষক মৃত্যু নিয়ে RTI-এর জবাবে প্রশাসেনর তরফে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল তা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি এক RTI-এর জবাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেপুটি পুলিশ সুপার জানান ২০২১ সালে জেলায় ১২২ জন ও ২০২২ সালে ৩৪ জন আত্মঘাতী হয়েছেন। এর পরই শোরগোল শুরু হয়। অথচ ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুসারে গত ২ বছরে রাজ্যে কোনও কৃষক আত্মহত্যা হয়নি। তাহলে কি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোকে ভুল তথ্য দিয়েছে রাজ্য সরকার? ওঠে সেই প্রশ্নও। শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্নটি উত্থাপন করেন মেদিনীপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানতে চান, কোন তথ্যটি ঠিক?
‘ডাক্তার চাই’ বিজ্ঞাপন দিয়ে সাড়া মিলল না, কেষ্টদের চিকিৎসায় বিপাকে সংশোধানাগার
জবাবে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই তথ্য পেয়ে আমরা তদন্ত করিয়েছি। তাতে দেখা গিয়েছে RTI-এর জবাবে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা ভুল। রাজ্যে ফসল বিমার সুবিধা রয়েছে। কৃষকরা প্রত্যেকে এর আওতায় পড়েন। ফলে ফসলের ক্ষতি হলে তারা বিপুল হারে ক্ষতিপূরণ পান। তাতে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে যায়’।
সঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ডেপুটি পুলিশ সুপার ভুল তথ্য দিয়েছেন। অন্য কোনও মৃত্যুর সংখ্যার সঙ্গে কৃষক আত্মহত্যাকে হয়তো গুলিয়ে ফেলেছিলেন তিনি’।
বলে রাখি, চলতি বর্ষায় রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। উত্তর দিনাজপুর থেকে হাওড়া পর্যন্ত সমস্ত জেলায় স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হয়েছে। কোনও কোনও জেলায় পরিস্থিতি এতই জটিল যে ক্ষরা ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে।