খুন হননি ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্ত। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের শেষে প্রাথমিক রিপোর্ট এমনই। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছিল শর্বরী দত্তের দেহ। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে শুরু হয় শর্বরীদেবীর দেহের ময়নাতদন্ত। প্রায় তিন ঘণ্টা পর শেষ হয় প্রক্রিয়া। তার পর আসে প্রাথমিক রিপোর্ট। তাতে জানানো হয়েছে, সেরিব্রাল স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে ফ্যাশন ডিজাইনারের। সঙ্গে জানানো হয়েছে ময়নাতদন্তের অন্তত ৩৬ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয়েছে শর্বরীদেবীর। দেহ উদ্ধার হয় রাত ১১টার কিছু পর। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির প্রধান দরজা বন্ধ করতে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা দেখেন শৌচাগারে পড়ে রয়েছে শর্বরী দেবীর দেহ। খবর দেওয়া হয় পারিবারিক চিকিৎসককে। তিনি এসে শর্বরীদেবীকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর দেহ উদ্ধার করে কড়েয়া থানার পুলিশ।
ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় দায়ের করেছিল কড়েয়া থানা। তবে এদিন ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে।
শর্বরীদত্তের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে গফিলতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল না শর্বরীদেবীর। তাঁর সংস্থা ও সম্পত্তির অংশিদারিত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল তাঁদের। এই নিয়ে বিবাদের জেরে ২০১৭ সালে নিজের নতুন ব্র্যান্ড তৈরি করেন শর্বরী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।