ব্যাঙ্কের লকার থেকে হিরে ও সোনার গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ব্যাঙ্কেরই কর্মচারী। অভিযুক্তের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ১০ কোটি টাকার হিরে ও সোনা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ব্যাঙ্ককর্মীর দাদাকেও। ধৃতদের জেরা করে এর পিছনে কোনও চক্র রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পার্ক স্ট্রিট এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের লকার থেকে গয়না ও দামি রত্ন খোয়া যাচ্ছে বলে থানায় অভিযোগ করেছিলেন গ্রাহকরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের প্রতারণা দমন বিভাগ। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন ব্যাঙ্কেরই এক মহিলা কর্মচারী। তিনিই ডুপলিকেট চাবি দিয়ে লকার খুলে সরাচ্ছেন গয়না ও হিরে।
দিন চারেক আগে মৌমিতা শী নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার হন তাঁর দাদা মিঠুন শীও। তাঁদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, কসবার বোসপুকুরের একটি ফ্ল্যাটে রাখা আছে চুরির মাল। সেকথা জানতে পেরেই ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৭টি হিরের গয়না। ১০টি সোনার গয়না। ১১টি সোনার বার। ৬টি সোনার কয়েন। রত্ন ও সোনা মিলিয়ে যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পার্ক স্ট্রিট এলাকায় মূলত অভিজাতদের বাস। দামি রত্ন ও গয়না বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেন না তাঁরা। ব্যাঙ্কের লকারকেই এব্যাপারে নিরাপদ মনে করেন তাঁরা। কিন্তু সেখান থেকে গয়না গায়েব হয়ে যেতে পারে তা ধারণা ছিল না কারও। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রে আর কারা যুক্ত তা জানার চেষ্টা চলছে। ধৃতরা চুরির মাল বিক্রি না করে কেন জমিয়ে রাখল তা জানতেও তাদের জেরা করছেন তদন্তকারীরা।