মূল বিষয়টা হল কে হবেন টিচার ইনচার্জ? আর সেই টিচার ইন চার্জের পদ নিয়েই তুমুল মারপিট। স্কুল চলাকালীনই শিক্ষকদের মধ্য়ে শুরু হল তুমুল মারপিট। মালদার বামনগোলার একটি স্কুলের ঘটনা। গোটা ঘটনায় স্কুলের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন। আসলে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। এরপরই টিচার ইন চার্জের পদ নিয়ে শুরু হল কাড়াকাড়ি।
সূত্রের খবর, তপন মণ্ডলকে টিচার ইনচার্জের চেয়ারে বসানো হয়েছিল। তবে তা নিয়েও ঝগড়া চলছিল। এরপর অপর এক শিক্ষক জীতেন্দ্র বর্মনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও সমস্যা মেটেনি।
এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে মিড ডে মিলের দুর্নীতির প্রসঙ্গ। এসবের মধ্যে দুই শিক্ষককে কেন্দ্র করে কার্যত বিভাজন স্কুলে। আর এরপর দুই শিক্ষকের অনুগামীদের মধ্যে শুরু হয়ে গেল মারপিট। একেবারে ভরা স্কুলে শিক্ষকদের মধ্য়ে মারপিট। সব মিলিয়ে স্কুলের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে। পডুয়াদের সামনে যদি শিক্ষকরা এভাবে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন তবে ছাত্রছাত্রীরা কী শিখবে?
তবে এনিয়ে শিক্ষকদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে শিক্ষকদের মধ্যে মারপিটের সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে সেই ঘটনায়। যাঁদের উপর শিক্ষা দানের মতো মহান দায়িত্ব তাঁরাই যদি মারপিট করেন তবে ছাত্ররা কী শিখবে?